হাজীগঞ্জে আক্তারুজ্জামান (৩৪) নামে নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ পরিচয়দানকারী এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। গত ১৪ অক্টোবর শনিবার হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজার সেন্ট্রাল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে আটক করে ব্যাপক জিঞ্জাসাবাদ করছে পুলিশ। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাবেদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
আকতারুজ্জামানের সাথে থাকা দুটি জাতীয় পরিচয় পত্রের সূত্রে জানা যায়, সে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার ব্রাহ্মণভাঙ্গা গ্রামের মোঃ আমিনুল ইসলামের ছেলে। আরেকটি পরিচয়পত্রে তার নাম মোঃ আখতার হোসেন সরকার, পিতা, মোঃ চাঁদ আলী সরকার, গ্রাম রহিমাবাদ, সিরাজগঞ্জ সদর, রাজশাহী উল্লেখ রয়েছে।
সেন্ট্রাল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি আক্তারুজ্জামান নিজেকে নাক-কান-গলা বিশেষঞ্জ পরিচয় দিয়ে এই হাসপাতালে চেম্বার করার জন্য কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। প্রথম দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসা সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাসপাতালে জমা দেবার জন্য বলে। তখন এই চিকিৎসক কাগজপত্র জমা দেবার জন্য সময় নেয়। সেই সময় শেষ হবার পর ফের আক্তারুজ্জামান কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। আবার আক্তারুজ্জামানের ব্যাগে থাকা কিছু ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যায় যাতে সে চিকিৎসক পরিচয়ে কার্ডে পদবী ব্যবহার করেছে। এরপরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।
থানার উপ-পরিদর্শক সামছুজ্জামান বলেন, সংবাদ পেয়ে আকতারুজ্জামানকে আটক করেছি। এ সময় তার কাছে দুটি জাতীয় পরিচয় পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। চিকিৎসা সেবায় সঠিক কোন সনদপত্র পাওয়া যায়নি। অফিসার ইনচার্জ মোহাঃ জাবেদুল ইসলাম বলেন, আটককৃত আকতারুজ্জামান চিকিৎসা সংক্রান্ত কোন বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এ বিষয়ে আরো খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে আর আটককৃত ব্যক্তির নামে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
শিরোনাম:
শনিবার , ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৫ মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।