বিশেষ প্রতিনিধি
হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ১০নং ওয়ার্ডের মনিনাগ মসজিদ বাড়ির আবদুস সাত্তারের ছেলে মোঃ লিটন (২৫) সোমবার রাতে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। গত সোমবার হাজীগঞ্জ থেকে প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় লিটনের স্ত্রী জোছনা আক্তারের অনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ হয়। যার কারণে লিটন থানা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সালিসে বিষপান করেন। রাতে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে লিটনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
জানা গেছে, লিটন দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। বাড়ি আসার পর বাবা-মার সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে কয়েকবার তাদেরকে মারধর করেন। এ অবস্থায় লিটনের পিতা আবদুস সাত্তার থানায় একটি অভিযোগ দেন। লিটনও বাবা-মার বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। হাজীগঞ্জ থানার এএসআই মোঃ আবুল কালাম ও মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঘটনা দু�টি তদন্ত করে সোমবার হাজীগঞ্জ থানা ক্যাম্পাসে উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিসে বসেন। সালিসের এক পর্যায়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় রাগে ও ক্ষোভে লিটন বিষপান করেন। সালিসে উপস্থিত থাকা একাধিক ব্যক্তি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরে তাকে সালিস থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার রাতে লিটন মারা যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পিতা-মাতার সাথে ছেলের সাংসারিক বিরোধকে একটি পত্রিকায় স্ত্রীর অসামাজিক কার্যকলাপ হিসেবে প্রকাশ করে তাকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছে। এ ধরনের অপসাংবাদিকতার বলি হচ্ছেন গ্রামের নিরীহ জনসাধারণ। যখন লিটনের পরিবার একটু স্বচ্ছলতার দিকে অগ্রসর হচ্ছিল তখন এলাকার একটি কুচক্রী মহল স্থানীয় এক সাংবাদিকের মাধ্যমে লিটনের পরিবারকে ধ্বংস করে দিলো।
হাজীগঞ্জ থানার এএসআই মোঃ আবুল কালাম বলেন, লিটনের আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য পত্রিকার সংবাদটি বেশির ভাগ অংশ দায়ী। ভুক্তভোগীরা ইচ্ছা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।