এনায়েত মজুমদার :
একাত্তোরে সুমহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য ও জাতির শ্রেষ্ঠবীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকে আগামী প্রজন্মের কাছে চির অমর করে রাখতে স্বাধীনতার ৪২ বছর পর হাজীগঞ্জে নির্মিত হতে যাচ্ছে স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ ও স্বাধীনতা চত্বর। প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে। নির্মিত কাজে পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়ান ও সাথে থাকবে জনগণের সহযোগীতা। স্বাধীনতার স্তম্ভটি নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার বিশ্বরোড চৌরাস্তার মোড়। ইতোমধ্যে সড়ক ও জনপথ থেকে ৪২ ফুট জায়গার বরাদ্দের অনুমতি নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। ৪০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট স্বাধীনতা স্তম্ভটির চতুর্দিকে থাকবে ঝর্ণা। রাতে স্বপ্নময় বর্ণিল আলোকচ্ছটার ঝলকানির জন্য থাকবে লাইটিং ব্যবস্থা। নির্মাণ শেষে বিজয় দিবসের ৪২তম বার্ষিকীতে এই স্বাধীনতার স্তম্ভের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র। তিনি গতকাল পৌরসভার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আগামী ৬ মাসের পৌর উন্নয়ন কার্যক্রমের প্যাকেজ ভিশন ঘোষণা করেন। এ প্যাকেজে রয়েছে, এক কোটি টাকা ব্যয়ে পৌর সড়কে সোডিয়াম লাইট স্থাপন, যাহা আগামী ২৫শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে পৌর ভবনের পশ্চিম পার্শ্বে নির্মিত হবে আরো একটি ঝর্ণা। যার পাশে থাকবে সৌন্দয্য বর্ধন নানান ফুলের বাগান। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় আরো দ্রুত নাগরিক সেবা প্রদানে নির্মান শুরু হয়েছে পৌর সুইপার কলনী। হাজীগঞ্জ কাপড়িয়া পট্টি সড়েক দক্ষিণ মাথায় ডাকাতিয়া নদীর দক্ষিণ পাড়ে ডাকাতিয়া চরে পৌরসভার খরিদকৃত ১৪ শতাংশ ভূমির উপর ৫ তলা ভবনের নির্মান কাজ হাতে নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এ সকল কাজ সঠিক ও সুষ্ঠ ভাবে শেষ করে পৌর নাগরিক সুবিধা এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে পৌরবাসীর সহযোগীতা চেয়েছেন পৌর মেয়র আঃ মান্নান খান। এছাড়া হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষে পৌরসভাধীন বোয়ালজুরি খালের উপর নির্মাণাধীন কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কের ৪৮তম কি: মি: এর ৪৮/১নং ব্রীজটি উচ্চতা ৬ ফুট কমানোর জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর বরাবরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী একটি আবেদন দিয়েছেন পৌর মেয়র। যা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ডিউ ল্যাটার প্রেরণ করেছেন, হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি নির্বাচনীয় এলাকা চাঁদপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তর। এছাড়াও সহযোগীতা চেয়েছেন জেলা প্রশাসক চাঁদপুর, জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অফিসার ইনচার্জ হাজীগঞ্জ থানা, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ বিভাগ হাজীগঞ্জ ও হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দর কাছে।