সাখাওয়াত হোসেন মিথুনঃ
হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন এনায়েতপুর এলাকায় হিন্দু সমপ্রদায়ের ২ একর ৬৯ শতক সম্পত্তি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ নিজেদের দেখিয়ে সামাজিক বনায়নের নামে ইজারা দেয়ার প্রক্রিয়া করছে। স্থানীয় জামাল হোসেন ঐ সম্পত্তি ইজারা নেয়ার জন্যে ইতিমধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। সূত্র জানায়, এনায়েতপুর গ্রামের মৃত সুরেশ চন্দ্র দাসের দুই ছেলে লিটন চন্দ্র দাস ও খোকন চন্দ্র দাস, মৃত কৃষ্ণ চন্দ্রের ছেলে অরুণ চন্দ্র দাস, মৃত গোবর্ধন দাসের ছেলে দীপক চন্দ্র দাস, মৃত রাখাল চন্দ্রের স্ত্রী সুপর্ণা দাস, মৃত অরুণ কুমার দাসের ছেলে ভুবন চন্দ্র দাস ও মৃত নেপাল চন্দ্রের ছেলে সুজন চন্দ্র দাস গং পৈত্রিক সূত্রে ২৩৬ নং-এনায়েতপুর মৌজার সিএস খতিয়ান নং-২০, এসএ খতিয়ান নং-১৭ ও বিএস খতিয়ান নং ১০১, ১৯৩ ও ১৯৪, দাগ নং ১৭৩, ১৭৪, ১৭৫, ১৭৬, ১৭৭, ১৭৮, ১৭৯, ১৮০ ও ১৮২ দলিল মূলে ২ একর ৬৯ শতক সম্পত্তির মালিক। বর্তমানেও তারা এই সম্পত্তিতে চাষাবাদ করে আসছেন। তাদের দাবি সওজের ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তারা জামালের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে এই সম্পত্তি ইজারা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। সম্পত্তি ভোগদখলদারদের মধ্যে লিটন চন্দ্র দাস, দীপক চন্দ্র দাস ও সুজন চন্দ্র দাস অভিযোগ করে বলেন, আমাদের গ্রামের মৃত মৌলভী আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ জামাল হোসেন চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে আমাদের ভোগদখলকৃত সম্পত্তি সড়ক বিভাগের সম্পত্তি দেখিয়ে ইজারা নেয়ার জন্যে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে। সওজের হাজীগঞ্জ কার্যালয় থেকে এই সম্পত্তি ইজারা দেয়ার জন্যে গত সপ্তাহে চাঁদপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ও কুমিল্লা সওজের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সওজ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৬-৫৭ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লা-চাঁদপুর মহাসড়কের দুই পাশে সর্বোচ্চ ৪০ ফুট পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণ করেছে। জমির দখলদাররা বলছে, এনায়েতপুর এলাকায় সড়কের উত্তর পাশে ৩০০ ফুট পর্যন্ত অধিগ্রহণ দেখিয়ে তারা এখন এই সম্পত্তি ইজারা দেয়ার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, জামাল হোসেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জ সওজ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি সওজ কর্তৃপক্ষের বলে প্রতিবেদন তৈরি করে সওজের ঊর্ধ্বতন দপ্তরে পাঠিয়েছে। হাজীগঞ্জ সওজ কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, সমপ্রতি সওজের ঐ সম্পত্তি সামাজিক বনায়নের জন্য ইজারা চেয়ে জামাল হোসেন সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ে আবেদন করেছেন। আমরা সেই আলোকে ঊর্ধ্বতন দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে হাবিবুর রহমান বলেন, সওজের ঐ সম্পত্তিতে দীর্ঘদিন থেকে দখলদাররা চাষাবাদ করে আসছিলো। এ প্রসঙ্গে জানতে জামাল হোসেনের দুটি ফোন নাম্বারে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
শিরোনাম:
বুধবার , ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১০ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।