চাঁদপুর : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হ্যাচিং ডিম বাজারে বিক্রি হওয়ার পর ফেরত দেয় ক্রেতা। প্লাস্টিকের ডিম সন্দেহে ওই ডিম পাঠানো হয়েছে রাজধানী মহাখালীতে জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগারে। মূলত পাস্টিকের কোন ডিম হয় না, খামারে বাচ্চা ফোটানোর জন্য ইনকিউবেটরে বাদ পড়া অর্থাৎ বাচ্চা ফোটেনি এমন ডিম লাভের আশায় বাজারে বিক্রির জন্য ছেড়ে দেয়া হয় এক শ্রেনীর খামারি। ওই ডিমগুলো খাওয়ার উপযোগী না হওয়ার কারণে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় ক্রেতাদের মধ্যে জানালেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ।
সোমবার (২৪ মে) এই বিষয়ে ফোকাস মোহনার সাথে কথা হয় হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জুলফিকারের সাথে।
তিনি বলেন, প্লাস্টিকের ডিম বলতে কোন ডিম নেই। খামারিরা বাচ্চ ফোটানোর জন্য যেসব ডিমগুলো ইনকিউবেটরে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাখেন, সেখানে অনেক ডিম থেকে বাচ্চা ফোটেনা। সেগুলো তারা পরীক্ষা করে দেখেন ভিতরে কোন বাচ্চার আকার আকৃতি নেই। ওই ডিমগুলো লাভের আশায় বাজারে বিক্রি করে দেন। এমন ঘটনা গত কয়েক বছর আগে যশোরে হয়েছে। সেখানকার আদালতের একজন বিচারক এরকম হ্যাচিং ডিম ক্রয় করার পর প্লাস্টিক বলে সন্দেহ করে আমাদের ডিপার্টমেন্টে পাঠান। তখন তাকে হ্যাচিং ডিম বলে ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
গত দুই বছর আগেও চাঁদপুর শহরের পালবাজারে এই ধরণের হ্যাচিং ডিম বিক্রি হয়। শহরের ব্যাংক কলোনীর একজন খুচরা বিক্রেতা ওই ডিম পালবাজারের পাইকারী ডিমের দোকান থেকে ক্রয় করেন। প্লাস্টিকের ডিম সন্দেহ হয় ওই ডিমগুলো। পরে বিষয়টি প্রশাসনের লোকজন জানেন এবং তাদের হস্তক্ষেপে আর হ্যাচিং ডিমগুলো বিক্রি হয়নি।
এদিকে গত ২০ মে জেলার হাজীগঞ্জ বাজারের শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন তালুকদার পৌর হকার্স মার্কেটের মাইশা স্টোর থেকে ৩০টি অর্থাৎ এক কেইচ ডিম ক্রয় করেন। পরে এসব ডিম বাসায় নিয়ে রান্না করতে গেলে ডিমগুলো রাবারের মতো দেখতে পান। তখনই তিনি ডিমগুলো মাইশা স্টোরে ফেরত দেন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেন।
এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক শামছুল ইসলাম রমিজ। তিনি বলেন, ফেরৎ দেয়া ডিম থেকে ৩টি ডিম সংগ্রহ করে দু’টি ডিম শনিবার (২২ মে) পরীক্ষার জন্য মহাখালীতে জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছি। পরীক্ষার ফলাফল পাওয়াগেলে জানাযাবে ডিমগুলোতে কি ধরণের সমস্যা। আসলেই এগুলো পাস্টিকের ডিম কিনা।
তিনি আরো বলেন, এই ধরণের পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে সময় লাগে কমপক্ষে ১ থেকে দেড় মাস। তবে প্লাস্টিকের ডিম সন্দেহ করে সাধারণ জনগণের মধ্যে কোন ধরণের বিভ্রামন্তি সৃষ্টি না হয় সে জন্য আমাদের দপ্তর থেকে একটি সচেতনতামূলক চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেটি আমি হাজীগঞ্জের গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রেরণ করেছি।
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট/চাঁদপুরনিউজ/