শাখাওয়াত হোসেন শামীম, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) সংবাদদাতা :
হাজীগঞ্জে গত ৬ দিন ধরে এক গৃহবধু নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজ গৃহবধুর পরিবার দাবী করেন, গৃহবধুর স্বামী ও দেবর কর্তৃক তাকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ গৃহবধুর বাবা হারুন বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থনায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের অলিপুর সর্দার বাড়ীর নিখোঁজ জোসনা একই বাড়ীর সামছুল হকের ছেলে মোঃ মানিকের সাথে ইসলামী শরীয়াহ্ মোতাবেক ২০০৯ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। গৃহবধু জোসনার বাবা আর্থিক ভাবে অসচ্ছল থাকায় গৃহবধু জোসনার উপর প্রায়ই যৌতুকে জন্য পাশ্বর্বিক নির্যাতন করত স্বামী, দেবর, শ্বশুর-শাশুড়ী মিলে। এতে করে স্বামী মানিক দেবর খোকন এলাকার সন্ত্রাস প্রকৃত লোক বলে এলাকাবাসী এলাকাবাসী জানায়। এতে গৃহবধু জোসনার নির্যাতনের বিচার কেউ করতো না তাদের ভয়ে। এতে করে গৃহবধু জোসনা পাশ্ববিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত চাঁদপুরে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১১ (ক)/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করে। মামলায় গৃহবধু জোসনা অভিযোগ করেন তার স্বামী মানিক একজন অত্যান্ত দুষ্ট, দুর্দান্ত, যৌতুক লোভী ও নারী নির্যাতনকারী পরধন লোভী প্রকৃতির লোক। ২০০৯ সনে দেড় লক্ষ টাকা মহরনা ধার্যে বিবাহ তাদের বিবাহ হয়। বিবাহের সময় তার বাবা কানে গলায় স্বর্ণালংকার সাজিয়ে দেয়। বিবাহের পর থেকে প্রায়ই তার স্বামী মানিক তার কাছে যৌতুক দাবী করে থাকে আর যৌতুক দিতে অপারগতা করলে এতে করে গৃহবধু জোসনার উপর চলতে পাশ্ববিক নির্যাতন। গৃহবধুর দেবর খোকন স্বামী মানিক, তার চাচাতো ভাই সামছুলহক, পিতা মৃতঃ ওয়াদ আলী সর্দার, গৃহবধু জোসনার কাছে ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। সেদিনই যৌতুক দিতে অপারগতা করলে শ্বশুর শ্বাশুড়ী ও দেবর মিলে জোসনাকে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় গৃহবধু জোসনা বাদী হয়ে স্বামী মোঃ মানিক দেবর খোকন, চাচাতো দেবর জাফর, শ্বাশুড়ী আনোয়ারা বেগম, শ্বশুর সামছুল হককে আসামী করে মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে গৃহবধু ও তার বাবা মাকে আসামীরা বিভিন্নভাবে ভয়ভিতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছে বলে জানায়। এমনকি জোসনাকে অপহরণ করে হত্যা করারও হুমকি দেয়। হুমকি দেওয়ার কয়েকদিন পরেই গত বুধবার গৃহবধু জোসনাকে আর খুজে পাওয়া যায় না। এ ঘটনায় নিখোঁজ গৃহবধুর পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, মামলার অভিযুক্ত আসামীরাই জোসনাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। হয়তোবা তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলেছে। তারা জোসনাকে উদ্ধারের জন্য উর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
শিরোনাম:
সোমবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।