হাজীগঞ্জে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্বা, ধর্ষক গ্রেফতার ।

সাখাওয়াত হোসেন মিথুনঃ
হাজীগঞ্জে রুবেল হোসেন নামের এক বখাটে যুবকের ধর্ষনের ফলে ৭ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ধর্ষক রুবেলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এর আগে ছাত্রীর বাবা রবিবার হাজীগঞ্জ থানায় রুবেল হোসেনকে (২২) আসামী করে হাজীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৯ থানায় দায়ের করা মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে উপজেলা বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের আড়ুলী গ্রামের চেরাগ আলী বেপারী বাড়ির মোঃ সেলিম মিয়ার ছেলে রুবেল হোসেন একই বাড়ির এক কিশোরিকে প্রায় ৬ মাস আগে ধর্ষন করে। এতে কিশোরী অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে। কিশোরীর পরিবার জানায়, ৬ মাস আগে রুবেলের ঘরে ওই কিশোরীসহ বাড়ির অন্য ছেলে মেয়েরা টেলিভিশন দেখতে যায়। এক পর্যায়ে রুবেল অন্যদের তাড়িয়ে দিয়ে কিশোরীকে আটক রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। বর্তমানে মেয়েটি ৬ মাসের অন্তঃসত্বা। কিশোরীর বাবা জানান, রুবেল হোসেন হাজীগঞ্জ বাজার বড় মসজিদে মালির কাজ করে। আমার মেয়ে বড়কুল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীতে পড়ে। বখাটে রুবেল মেয়েটির সর্বনাশ করার পর মেয়েটির বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ। আমি ঘটনার সুষ্ঠ সমাধানের জন্য একাধিক বার ছেলের বাবার হাতে পায়ে ধরেছি। কিন্তু তারা বারবার ঘটনা অস্বীকার করে এড়িয়ে গেছে। মেয়ের বাবা আরো জানান, পরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও গণ্যমাণ্যদের বিষয়টি জানিয়েছি। এতেও কোন সমাধান হয়নি। এদিকে দিন দিন মেয়ের অবস্থা খারাপ হয়ায় রবিবার হাজীগঞ্জ থানায় মামলা করেছি। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবু ইউছুফ বলেন, আমি গত সপ্তাহে মেয়েটিকে নিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারের একটি বেসরকারী হাসপাতালে পরিক্ষা-নিরিক্ষা করিয়েছি। মেডিকেল পরিক্ষায় মেয়েটি প্রায় ৬ মাসের অন্তঃসত্বা বলে চিকিৎসক রির্পোট দিয়েছেন। আমি ছেলের বাবাকে মেয়েটিকে বউ করে নেওয়ার জন্য স্থানীয় গণ্যমাণ্যরা সহ অনুরোধ করেছি। কিন্তু ছেলে এবং ছেলের বাবা আমার কোন কথা শুনেনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরির্দশক মোঃ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, মামলার এক মাত্র আসামী রুবেল হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।