এম.সাখাওয়াত হোসেন মিথুন:
গত ২৯ ডিসেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাজীগঞ্জ এন্নাতলি মিজি বাড়ীতে পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ঘটনার বিবরণীতে জানাযায়, পুকুরের মালিকানা অংশ নিয়ে দীর্ঘ্যদিন যাবত আদালতে মামলা চলছিল। বিবাদী ছাত্তার গং আদালতের অনুমোতি নিয়ে পুকুরের চাষকৃত জেলে কর্তৃক মাছ ধরা কালে আনোয়ার গং ও ছাত্তার গংদের মধ্যে পুকুরের মাছের অংশ ভাগাভাগি নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আনোয়ার গংদের শিমানায় ছাত্তার গংদের মধ্যে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায় উভয় পক্ষ দেশীয় অশ্র দিয়ে সংঘর্ষে মেতে উঠে। এ সংঘর্ষে ছাত্তার গংদের মধ্যে গুরুত্বর আহত হন ৩ জন। এর হলেন মৃত ফজলুল হকের ছেলে আব্দুস ছাত্তার (৬০), মৃত আব্দুল গফুর মিয়াজির ছেলে আক্তার হোসেন (৫০), মোস্তফা মিয়াজির ছেলে মোঃ মাছুম (১৯) এবং আনোয়ার গংদের মধ্যে গুরুত্বর আহত হন ২ জন। এরা হলেন দেলোয়ার হোসেন মিয়াজীর ছেলে মামুন হোসেন (২৮) উভয় পক্ষের ৫ জনকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাথ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছে এদের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ছাত্তারের পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, ছাত্তারকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আনোয়ার গংদের মধ্যে অন্যান্য আহতরা হলেন শাহ্জান মিয়াজীর স্ত্রী পারুল বেগম (৪০), হানিফের মিয়াজীর স্ত্রী জোসনা বেগম (৩৫), মৃত লোকমানের স্ত্রী শরবেতুন্নেছা, আবু বক্করের স্ত্রী গর্ভবতী রুবি বেগম(২৫)। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, ছাত্তার গংদের দাবী আমরা আদালতের অনুমোতি সাপেক্ষে জেলে কর্তৃক পুকুরের মাছ ধরতে গেলে আনোয়ার গং আমাদের উপর হামলা করে এবং আনোয়ার গংদের দাবী পুকুরের অংশ আমরা দাবী করতে গেলে আমাদের সীমানায় এসে আমাদের উপর হামলা সহ ঘরের মালামাল ভাংচুর এবং লুটপাট করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।