মিজান লিটন,
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় একটি ওষুধ কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। উপজেলার দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের আনন্দ বাজর এলাকায় এই ওষুধ কারখানা। গত দুই বছর এখানে ওষুধ (ট্যাবলেট) তৈরী করে কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে বাজারজাত করা হয় বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন।
র্কীত্তনখোলা-সাতবাড়িয়া গ্রামের আনন্দবাজার এলাকায় কারখানাটিতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাহিরে তালাবন্ধ এই কারখানাটির মালিক স্থানীয় মাহবুব আলম নামের এক ব্যবসায়ী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, এখানে কখনো বাহিরের লোক প্রবেশ করতে পারে না। এটা দেখভাল করেন শাহাদাত মুন্সী। ভিতরে ওষুধ তৈরী করে বলে জানে। তবে ইতোমধ্যে বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ থাকায় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। শাহাদাত মুন্সীর বাড়ীতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
আনন্দ বাজার ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই কারখানায় শাহাদাত মুন্সী ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারে না। এখানে কি ধরণের ওষুধ তৈরী হয় বলা মুশকিল। শাহাদাত মুন্সীর মুঠোফোন নম্বরটিও কাউকে দেয়া হয় না।
কারখানার মালিকের ভাই মহিন উদ্দিন। তার কাছে মাহবুব আলমের মুঠোফোন নম্বর চাইতে গেলে তিনি অপরাগতা প্রকাশ করেন।
কারখানাটির মালিকের ভাই প্রভাবশালী কাউছার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, এটি একটি ইউনানী ওষুধ কারখানা। ইতোমধ্যে ইউনানী প্রজেক্ট পাস হয়েছে। তবে এখনো ড্রাগ অধিদপ্তর থেকে উৎপাদন লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। ঢাকা ও বিভাগীয় কয়েকজন কর্মকর্তা আমাদের কারখানাটি পরিদর্শন করে গেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, হাজীগঞ্জে ওষুধ কারখানা আছে বলে আমার জানা নাই। তবে বিষয়টি দ্রুত খোঁজ-খবর নিবো।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. মুর্শিদুল ইসলাম বলেন, হাজীগঞ্জে ওষুধের কোন কারখানা নেই। শীঘ্রই বিষয়টি খোঁজ-খবর নিবো।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।