মাদ্রাসার ৫ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে সফিনুর ইসলাম নামে ৮ বছরের এক শিশু। গতকাল রোববার দুপুরে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ সংলগ্ন জামিয়া আহমদিয়া কওমী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের কাপাইকাপ মিজি বাড়ির মহসীন মিজির ছেলে। সম্প্রতি তাকে এ মাদ্রাসার নজরানা শাখায় ভর্তি করা হয়।
আমার মতো শতাধিক ব্যক্তি এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলে জানান হাজীগঞ্জ মডেল কলেজের প্রভাষক বেনজির আহমেদ। তিনি বলেন, প্রথমে শিশুটিকে ৫ম তলার রেলিংয়ের বাইরে ঝুলতে দেখে চিৎকার দিয়ে এগিয়ে যাই। মুহূর্তের মধ্যে দেখি সে নিচে থাকা প্রাইম ব্যাংকের এটিএম বুথের ছাদে পড়ে থেতলে যায়। এর পরেই শিশুটিকে সকলে ধরাধরি করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়। আরেক প্রশ্নে এ প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, রেলিংয়ের বাইরে সে নিজেই এসেছে না কি ভুল করে এসেছে তা আমরা কেউ বুঝে উঠতে পারিনি।
উক্ত মাদ্রাসার নজরানা শাখার শিক্ষক মাওলানা ইব্রাহিম বলেন, সকালে নাস্তা ও ভাত খেয়ে পড়া শেষে দুপুরে গোসলের সময় সে বারান্দায় যায়। ঐ সময় রেলিংয়ের উপর থেকে সে ছিটকে নিচে পড়ে যায়।
এ বিষয়ে শিশুটির মায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা ঢাকা মেডিকেলে আছি। তার অবস্থা ভালো নয়।
হাজীগঞ্জ থানার এসআই মান্নান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কেউ অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর একই মাদ্রাসার আরেক ছাত্র একইভাবে মাদ্রাসার ভবন থেকে পার্শ্ববর্তী সান্ত্বনা ভবনের ছাদে পড়ে মারাত্মক আহত হয়।