সাখাওয়াত হোসেন মিথুনঃ
২৩ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন হাজীগঞ্জ উপজেলার গর্ন্ধব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম দেশগাঁও রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ফারুক আহমেদ। গত জুনে পদত্যাগ দেখিয়ে তাঁর পদটি শূন্য ঘোষণা করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। দুই মাস ধরে তিনি বেতন পাচ্ছেন না। এখন তিনি চাকরি নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে জানা গেছে, জুন মাসে উপজেলার রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় ৪৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। তখন পশ্চিম দেশগাঁও রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের মৃত্যুজনিত কারণে ও একজন বিদেশ চলে যাওয়ায় দুটি পদ শূন্য হয়। কিন্তু উপজেলা প্রাথমিক কার্যালয় থেকে ওই দুটিসহ পদত্যাগ দেখিয়ে মো. ফারুক আহমেদের পদটিও শূন্য ঘোষণা করা হয়। তার পর থেকে গত জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন বিলে তাঁর নাম আসেনি।
ভুক্তভোগী শিক্ষক ফারুক আহমেদ (ইনডেঙ্ নম্বর ৪০৩১৫৫) বলেন, ‘১৯৮৯ সাল থেকে আমি চাকরি করছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশিষ চিরান ও উচ্চমান সহকারী বোরহান উদ্দিন পদত্যাগ দেখিয়ে আমার পদটি শূন্য ঘোষণা করায় গত দুই মাস বেতন পাইনি। যোগাযোগ করলে তারা ভুলবশত ব্যাপারটি ঘটেছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। তাঁদের ভুলে আমার এখন চাকরি নেই।’ তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারিতে দেশের সব রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হবে। এর আগে বিষয়টি সুরাহা করা না হলে তাঁর বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।বোরহান উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে ভুলবশত বেতন বিল থেকে ফারুক আহমেদের নাম কাটা হয়েছে। এখানে তাঁর এবং শিক্ষা কর্মকর্তার হাত নেই। তাঁরা ওই শিক্ষকের বেতন-ভাতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ফাইলপত্র ঠিক করে মহাপরিচালকের কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশিস চিরান এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
শিরোনাম:
রবিবার , ১৫ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।