চাঁদপুর নিউজ রিপোর্ট
হাজীগঞ্জ আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার হাজীগঞ্জ মডেল কলেজের পরীক্ষার্থীদের মাঝে কম্পিউটারাইজ্ড পদ্ধতিতে নকল সরবরাহের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষার দিন নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের প্রত্যেক সেটের পৃথক কম্পিউটারাইজ্ড কপি পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করা হয়।
বৃহস্পতিবার বাংলা পরীক্ষার শেষে দু� পরীক্ষার্থী তাকে সরবরাহ করা নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের �ক� সেট ও �খ� সেটের দু�টি সংশোধিত কপি এই প্রতিবেদককে দিয়ে বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ এই নকল সরবরাহের কারণে ভালো আর মন্দ ছাত্রের মধ্যে কোনো তফাৎ থাকল না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থী জানায়, পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পরে তাদের শিক্ষক-কর্মচারীরা এসব কপি পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করেন।
এদিকে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের কম্পিউটারাইজ্ড কপি পরীক্ষার্থীদের মাঝে সরবরাহের বিষয়টি হাজীগঞ্জ বাজারে মানুষের মধ্যে প্রকাশ্যে আলোচিত হচ্ছে। একাধিক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য শিক্ষক-কর্মচারীগণ ছাত্রদের মাঝে নকল সরবরাহ করা নৈতিকতা বিবর্জিত কাজ। প্রশাসন যেনো জরুরিভাবে হস্তক্ষেপ করে এসব অপকর্ম বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় মডেল কলেজের দু� ছাত্রকে নকলের দায়ে বহিষ্কারের কারণে তৎকালীন ইউএনও এমরান হোসেনকে হাজীগঞ্জ থেকে বদলি হতে হয়। ইউএনও এমরান হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেছেন, তার বদলীর জন্য অধ্যক্ষ আলমগীর কবির পাটওয়ারী ৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন।
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আমিন মেমোরিয়াল কেন্দ্রে হল পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যে বেশির ভাগই স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক। এদের মধ্যে হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬জন, পাইলট হাইস্কুল এন্ড কলেজের ৬ জন এবং বেলচোঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের মঞ্জুর হোসেনসহ আলিয়া মাদ্রাসার বেশ ক�জন শিক্ষক রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে কলেজের শিক্ষকগণ কড়াকড়ি দায়িত্ব পালন করায় উপজেলা প্রশাসনের সাথে আঁতাত করে মডেল কলেজ কর্তৃপক্ষ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের দিয়ে হল পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করায়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনা আফরোজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি অবগত আছি। সামনের পরীক্ষাগুলোতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটাতে পারে সে জন্য কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নেয়া হবে।