সাখাওয়াত হোসেন মিথুনঃ
হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের মেনাপুর পীর বাদশা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্ণীতির অভিযোগের তদন্ত্ম হয়েছে। সরকারের সংশিষ্ট দপ্তরের নির্দেশ বলে গত সাপ্তাহ আগে তদন্ত্ম করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন। এর পূর্বে এলাকাবাসী ও কয়েক’শ অভিভাবক ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয়ে দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দূর্নীতি দমন কমিশন সহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন। এ প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দূর্নীতি দমন কমিশন বরাবর যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তার অনুলিপি চাঁদপুর-০৫ আসনের সংসদ সদস্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক, চাঁদপুর জেলা দূর্নীতি দমন অফিসার, জেলা মাধ্যমিক অফিসার, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট দেওয়া হয়েছে। আর অভিযোগটি দিয়েছে উক্ত বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি স্থানী মেনাপুর গ্রামেরমৃত. বদিউজ্জামান প্রধানিয়ার ছেলে মো. লিটন প্রধানিয়া।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক অত্র এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা এবং বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতির চাচাতো ভাই হওয়ার কারনে নানা অনিয়ম দূর্নীতিসহ একের পর এক অন্যায় কাজ করে যাচ্ছে। আর তার এ অপকর্মের সাথে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির কিছু সদস্যের যোগসাজশ রয়েছে বলেও জানা যায়। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এতোই প্রভাবশালী যে, তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কোন কথা বলার সাহস পায় না। কেউ এর কোন প্রতিকার বা প্রতিবাদ জানতে চাইলে ওই প্রধান শিক্ষকের লালিত সন্ত্রাসীরা প্রতিবাদকারীদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে থাকে। ফলে কেউ প্রাণের ভয়ে বা তার সন্ত্রসী বাহিনী দ্বারা লাঞ্চিত হওয়ার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, এ প্রধান শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর না হয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদমর্যাদা ভুলুন্ঠিত করে হয়ে উঠেছেন স্বেচ্ছাচারী আর দূর্নীতিপরায়ন বিতর্কিত এক শিক্ষক। তিনি এতোটাই দাম্ভিক ও ক্ষমতাশালী যে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ের দামী দামী গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি, অন্যকে সুবিধা পাইয়ে দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট সীমানা ছেড়ে দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মান, নামমাত্র মূল্যে বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবন বিক্রয়, জেলা পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত টাকা আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের জমির মাটি অন্যত্র বিক্রি, ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে উপবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে চাঁদা গ্রহণ, প্রশংসাপত্র প্রদানে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে অর্থ আদায়, শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্নভাবে অনিয়মের মাধ্যমে দুর্নীতি করে আসছেন। জেলা শিক্ষা অফিসার শফিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অভিযোগকারী ব্যক্তি অনেকগুলো দপ্তরে অভিযোগ পাঠিয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠান অভিযোগ তদন্ত্ম করবে তা বুঝা মুশকিল। এ সংক্রান্ত্ম অভিযোগের ভিত্তিতে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন গত সপ্তাহে উক্ত বিদ্যালয়ে গিয়ে উপরোক্ত অভিযোগ গুলোর তদন্ত্ম করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি বিদ্যালয়ে তদন্ত্ম করেছি। অপর প্রশ্নে তিনি জানান, যেহেতু ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ তাই পুরোপুরি তদন্ত্ম না করে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ৮ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৪ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।