সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট: চাঁদপুর হাজিগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও গ্রামে চাঁদার দাবিতে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে বসতঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে। চাঁদপুর আদালতে দায়েরকৃত ভুয়া ও মিথ্যা নিষেধাজ্ঞা মামলার বাদী রাজারগাও গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল করিমের ছেলে সিরাজুল ইসলাম তার ছোটভাই সিদ্দিকুর রহমানের চাপে মামলাটি করেছে বলে স্বীকার করে প্রকৃত ঘটনা ফাঁস করেন।
ভুয়া ও মিথ্যা মামলার নাটের গুরু সিদ্দিকুর রহমান তার প্রতিপক্ষ সোলেমানের কাছে মোটা অংকের চাঁদা ও সম্পত্তি দাবী করলে তা না পাওয়ায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তার বড় ভাইকে নিয়ে এই মামলাটি করেছেন বলে মামলার সাক্ষীরা ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান।
রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, রাজারগাও গ্রামের মোহাম্মদ সোলেমান ও তার ভাতিজা নাছির হোসেন ঢাকায় ব্যবসা করেন।তারা তাদের উপার্জিত টাকা দিয়ে বাড়িতে একটি দোতলা ভবন এর কাজ শুরু করেন। সে সময় মামলার বাদী সিরাজুল ইসলাম ও ঘটনার নাটের গুরু সিদ্দিকুর রহমান কাজের শুরুতে উপস্থিত থেকে বসতবাড়ির কাজ উদ্বোধন করেন। কিন্তু সিদ্দিকুর রহমান তার প্রতিবেশী মোহাম্মদ সোলেমান এর কাছে চাঁদা দাবি করেন ও সম্পত্তির কিছু অংশ ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে মুঠোফোনে কথা কাটাকাটি হলে সিদ্দিকুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে ঢাকায় অবস্থান করে তার বড় ভাই সিরাজুল ইসলামকে জোর পূর্বক বাদী করে ১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞা মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সিরাজুল ইসলাম জানান, ছোট ভাই সিদ্দিকুর রহমান ও সালমানের সাথে কথা কাটাকাটি হলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে এই মামলাটি করেছেন। তবে এই ঘটনা নিয়ে কোন ধরনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার হামলার ঘটনা ঘটেনি। মামলার আর্জিতে যা লেখা হয়েছে এডভোকেট অনেকটাই মিথ্যা লিখেছেন। আমরা উভয় পক্ষ সমঝোতা করার চেষ্টা করছি।
মামলার এজাহারে উল্লেখিত সাক্ষী বাদীর ছেলে কাউসার আলম, শহীদুল্লাহ ও বিল্লাল হোসেন সহ প্রত্যক্ষদশীরা জানান, প্রতিহিংসামূলক ভাবে এই মামলাটি করা হয়েছে। তবে বিবাদী সোলেমান তাদের নিজেদের সম্পত্তিতে ভবনটি করছে। এই ঘটনার কোন ধরনের হামলা ও মারামারির ঘটনা ঘটেনি। পুরো ঘটনাটি সিদ্দিকুর রহমানের কারণেই হয়েছে।
এই ঘটনার নাটের গুরু সিদ্দিকুর রহমান জানান, আমাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথের জায়গার কিছু অংশ তারা দখল করে নিয়েছে তাই মামলাটি করা হয়েছে। যদি প্রতিপক্ষরা সমঝোতা করে তাহলে আমরা মামলা তুলে নেব।
এদিকে ভুক্তভোগী ও মিথ্যা মামলার হয়রানির শিকার হওয়া নাছির হোসেন জানান, নিজেদের জায়গায় বসত ঘর নির্মাণ কাজ করছি। কাজের শুরুতেই বাদী ও তার ভাই উপস্থিত থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে। সে সময় কোন অভিযোগ তাদের ছিল না কিন্তু এখন চাঁদার দাবিতে ও ঈর্ষান্বিত হয়ে এই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছে। আমরা এই মিথ্যা মামলার প্রতিকার চাই ও দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/