সাখাওয়াত হোসেন মিথুন
অর্থাভাবে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়ক সংস্কারের সাড়ে ৪ কোটি টাকার প্রকল্প বাতিল হয়েছে। গত অর্থ বছরে ওই প্রকল্পের টাকা না আসায় ঠিকাদার কাজটি করেনি। গতকাল সংশিস্নষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাজীগঞ্জ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাতিল হবার পর একাধিকবার স্থানীয়ভাবে চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সংস্কার করা হয়। বর্তমানে কিছুটা স্বাভাবিক হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত রয়েছে। সংস্কারের অভাবে ১০ কিলোমিটার সড়ক পিচ উঠে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংশিস্নষ্ট সূত্রে আরোও জানা গেছে, অর্থাভাবে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার প্রকল্পের টাকা ফেরত গেছে। ‘এত খারাপ রাস্ত্মাটি লোকজন চড়তে চায় না। হেয়ার লইগ্যা বাদ্য অইয়্যা মালামাল টানি। আমনে নিজেই তো দ্যাখলেন রাস্ত্মার কী অবস্থা। এ রাস্ত্মায় কি গাড়ি চালান সম্ভব?’- এভাবে দূরবস্থার কথা তুলে ধরেন হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের বৈশাখী পরিবহনের গাড়ি চালক আবদুল কাদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্ন স্থানের পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তে সৃষ্টি হয়েছে। গর্ত থাকায় জনদূর্ভোগের পাশাপাশি যানবাহনের যান্ত্রিক ত্রুটি দিন দিন বাড়ছে। এ সড়ক দিয়ে যানবাহন ও জনগন যাতায়াত করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। প্রতিদিন এই সড়কে ছোটখাটো দূর্ঘটনা ঘটছে।
হাজীগঞ্জ সওজ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০-১১অর্থ বছরে সড়কটি সংস্কারের জন্য ৪ কোটি ৩৬লক্ষ ৯৬ হাজার ৭০৯ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। কাজটি পায় কুমিলস্না জোনের মেসার্স রানা বিল্ডার্স কনষ্ট্রাকশন লিঃ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কটি ১৮ কিলোমিটার। যার ১০ কিলোমিটারই এখন মরণফাঁদ।
শিরোনাম:
সোমবার , ১১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৭ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।