সংবাদদাতা॥
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ শহর ছাত্রলীগ সভাপতি জাকির হোসেন সোহেল সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে ঢাকার ল্যব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের বিশ্বরোড এলাকায় তিনি হামলার শিকার হন। রাতেই বিক্ষুব্দ নেতা-কর্মীরা টায়ারে আগুন জালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। ’ ‘এ হামলার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে শহর ছাত্রলীগের উদ্যোগে হাজীগঞ্জ বাজারে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয় এবং ঘন্টা ব্যাপী রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়। এতে করে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে ব্যাপক যানজটের সৃস্টি হয়ে শত-শত যাত্রী মারাত্বক দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।’
আহত সভাপতির ভাই দেলোয়ার হোসেন জানান, জাকির হোসেন সোহেল দলীয় অফিস থেকে হেটে বাসায় যাওয়ার পথে অর্তকিতভাবে এই হামলা চালানো হয়। উঁৎপেতে থাকা একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল সোহেলের পিছন থেকে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে মাথা ও পায়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। ওইসময় জাকির হোসেন সোহেল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজ বেপারী জানান, প্রথমে জাকির হোসেন সোহেলকে উদ্ধার করে পপুলার হসপিটাল ও পরে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পা ও মাথায় গুরুতর জখম হয়। তার পায়ে তিনটি ও মাথায় ১২টি সেলাই দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই হাজীগঞ্জ শহর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ বিশ্বরোড এলাকায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামীলীগের জনৈক নেতা বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি করা হচেছ। ঘটার সাথে যারা জড়িত রয়েছে, তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। ঘটনাস্থলে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। সেই সূত্র ধরে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবে বলে আশা রাখি। আমরা আইনকে শ্রদ্ধা করি। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জাবেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে এখনও কোন মামলা হয়নি। মামলা হলে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আহত ছাত্র নেতাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়া হয়েছে। সে বলতে পারবে কারা এ ঘটনা করেছে। আমরা ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।