হাজীগঞ্জ উপজেলা একটি প্রসিদ্ধ ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত । নানা শ্রেণি পেশার মানুষ এ উপজেলায় এসে ব্যবসায়িক কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। আর এ সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির হাতুড়ে চিকিৎসক ও কবিরাজ সাধারণ মানুষকে নানাভাবে আকৃষ্ট করে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা চালিয়ে লাখ লাখা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা রং বেরংয়ের আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন ও এক শ্রেণির অল্প শিক্ষিত দালালের মাধ্যমে রোগীদেরকে জিম্মি করে কৌশলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। উপজেলার সর্বত্র ঘুরে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, একজন পাস করা সার্টিফিকেটধারী ডাক্তার চিকিৎসার মাধ্যমে যে রোগের মুক্তির নিশ্চয়তা দিতে পারেন না, অথচ হাতুড়ে ডাক্তার ও কবিরাজরা অল্প সময়ের মধ্যে সকল রোগের চির মুক্তির নিশ্চয়তা দিয়ে হাজীগঞ্জের আনাচে-কানাচে চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার করছে। তারা অসহায় রোগীদের আকৃষ্ট করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সর্বশান্ত করছে। প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার অভিযান না করায় দিন দিন এদের দাপট বেড়েই চলছে। এসব হাতুড়ে ডাক্তারের মধ্যে রাজারগাঁও গ্রামের দুলাল, বাকিলায় ডাক্তার রব, বলাখালের বাবু লাল, পিজুস, রামপুর বাজারে মিজান, কাশিমপুর বাজারে উত্তম, সহদেব, পালিশারা বাজারে জীবন কর্মকার, রিপন, আহাম্মদপুর বাজারে মাছুম, মহামায়া বাজারে লিটন, মনতলা বাজারে উত্তম উল্লেখযোগ্য।
আর কবিরাজদের মধ্যে রয়েছেন রাজারগাঁও গ্রামের সফিক, সিরাজ, শ্রীপুরের আলী আকবর মুন্সী, নূরু, সুদিয়া গ্রামের জ্বিন কবিরাজ, হাজীগঞ্জ বাজারে সাব-রেজিস্ট্রার মসজিদের সাবেক ইমাম, হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের পাশে মহিলা জ্বিন কবিরাজ, সুহিলপুর গ্রামে কামাল কবিরাজ, ধোপল্লা গ্রামে মোহাম্মদ আলী, হাজীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে প্রতি শুক্রবারে বসেন তুলপাইর ওমর ফারুক, বাউড়া গ্রামে আবুল বাসার, মধ্যেরবাগ গ্রামের বারেক।
এ সমস্ত হাতুড়ে চিকিৎসক ও প্রতারক কবিরাজের ফাঁদে পড়ে অনেক অসহায় ও নিরীহ লোক রোগ শোকে জর্জরিত হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে ভুল চিকিৎসায় কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। সচেতন মহল মনে করে এ ধরনের প্রতারক চিকিৎসকদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে ভুক্তভোগী মানুষ উপকৃত হবে।