ফাহিম শাহরিন কৌশিক খান
চাঁদপুর শহরের হোটেলগুলোর মধ্যে আকবরী হোটেলে অপরাধ কর্মকা- দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। নিরাপদস্থান হিসেবে এ হোটেলটি মাদকসেবী ও চোর ডাকাতরা বেছে নিয়েছে। এ হোটেলে দীর্ঘদিন যাবৎ পতিতা ব্যবসার অভয়আশ্রম হিসেবে পরিণত হয়েছে। গত রোববার রাত ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ, মডেল থানার পুলিশ শহরের কুমিল্লা রোড সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হোটেল আকবরীতে অভিযান চালিয়ে পতিতা খদ্দর এবং ম্যানেজারসহ ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
গতকাল সোমবার আটকৃতদের দক্ষিণ তারাবুনিয়ার নুরু শেখ (৩৭), মফিজুল বেপারী, পতিতা ফারজানা সুমি (২০) ও হোটেল বয় আবুল হোসেন (২১)-কে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়। এদের মধ্যে হোটেল বয় আবুল হোসেনকে ১ মাসের সাজা ও বাকীদের ৭ দিনের সাজা প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মহসিন উজ্জ্বল। জানা যায়, সরকারি কলেজের সামনে ও ছাত্রী নিবাসের পাশে হোটেল আকবরীতে দীর্ঘদিন যাবৎ অপরাধ কর্মকা- চলে আসছে। সম্প্রতি হোটেল মালিক কাজী জাফর এলিন লক্ষ্মীপুরের জনৈক এক
যুবতীকে এ হোটেলে আটকে রেখে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারন করে তা সিডি আকারে তৈরি করে বাজারে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া যায়। ঘটনার ৩দিন পর পুলিশ জানতে পেরে তাদের সহযোগিতায় অবশেষে ঐ যুবতী মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়ী পাঠানো হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও পতিতাদের খদ্দরসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। অপরাধীরা নিরাপদ স্থান হিসেবে হোটেল আকবরীকে বেঁছে নিয়ে এখানে অপরাধ প্রবণতা চালিয়ে যাচ্ছে। হোটেল ম্যানেজার কৃষ্ণা দীর্ঘদিন যাবৎ বহিরাগত থেকে পতিতাদের ও স্কুল কলেজগামী ছাত্রীদের ফুসলিয়ে হোটেলে এনে জোর পূর্বক অনৈতিক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনার দিন পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে হোটেল ম্যানেজার কৃষ্ণা ও পরিচালক এলিন পালিয়ে যায়। সূত্রটি আরো জানায়, উঠতি বয়সী কলেজ পড়–য়া ছেলে মেয়েরা আকবরী হোটেলে এসে অনৈতিক কর্মকা- করার সময় হোটেল পরিচালক এলিন সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সে নগ্ন ছবি ধারণ করে রাখে প্রতারণা করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয় এবং সিডি করে বাজারে বিক্রি করে। এভাবেই হোটেল আকবরীতে এসব অপকর্ম চলে আসছিল।