চাঁদপুরের সুব্রত সাহা (৫২) নামের এক প্রকৌশলীর রাজধানীর ফাইভ স্টার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কর্মরত অবস্থায় রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার ২৫ মে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রমনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে ২৬ মে বৃহস্পতিবার রাত আটটায় নিহত সুব্রত সাহার মৃতদেহ লাশবাহী এম্বুলেন্সে করে চাঁদপুরের বাড়ি শহরের কোড়ালিয়া সাহা বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠান করার জন্য মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিহত সুব্রত সাহার বড় ভাই রতন সাহা জানান,হোটেলের ছাদ থেকে নিচে পড়লে শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকবে। কিন্তু তার ভাইয়ের শরীরে এ ধরনে কোনো আলামত তারা দেখতে পায়নি। পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কোড়ালিয়া সাহা বাড়ির প্রয়াত পরেশ সাহার ৭ ছেলের মধ্যে প্রকৌশলী সুব্রত সাহা ছিলেন ষষ্ঠ সন্তান। পালবাজারে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
নিহত সুব্রত সাহার লাশ এলাকায় নিয়ে আসলে স্থানীয় কাউন্সিলর ও চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র অ্যাডভোকেট হেলাল হোসাইনসহ অনেক শুভাকাক্সিক্ষ অনেকেই দেখতে যান এবং স্বজনদের সান্ত্বনা দেয়।
ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন,হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দ্বিতীয় তলা থেকে প্রকৌশলী সুব্রত সাহা নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ আলামত সংগ্রহ করছে। অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তিকে আসামি করে বুধবার মধ্যরাতে থানায় স্বপন সাহা হত্যা মামলা করেন।
এ ব্যাপারে পুলিশ হোটেলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ জব্দ করেছে। হোটেলের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। বিকালে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সুব্রত সাহা রাজধানীর হাতিরপুলে সপরিবারে থাকতেন। তার স্ত্রী ও ১ মেয়ে রয়েছে। তবে কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে- সে বিষয়ে পুলিশ তেমন কোনো তথ্য জানাতে পারেনি। পরিবারের সদস্যরাও তেমন কিছু জানাতে পারেননি। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই প্রকৌশলীর ১১ তলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবে তিনি নিজে লাফিয়ে পড়েছেন নাকি তাকে কেউ ধাক্কা দিয়েছে- সে বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।