শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুরে কলেজ ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা শহরে বিভিন্ন হোটেলে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। স্কুল কলেজে যাওয়ার নাম প্রেমিক-প্রেমিকারা প্রনিদিনই বিচরন করছে। অনৈতিক কর্মকান্ড নির্মুল করতে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের নির্দেশে মডেল থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও নতুন বাজার ফাঁড়ির পুলিশ শহরের সবক’টি হোটেলে অভিযান চালিয়ে ইদানিংকালে প্রেমিক-প্রেমিকাসহ পতিতা খরদরদের আটক করে সাজা প্রদান করেছে। তেমনি আজ সোমবার দুপুর ১২টায় নতুন বাজার ফাঁড়ির এটিএসআই সুদর্শন কুড়ি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চৌধুরী ঘাট নিউ হোটেল শ্যামলীতে অভিযান চালায়। এসময় হোটেলের ২১৬ নং কক্ষে অনৈতিক কার্যকলাপ করার সময় পুরাণবাজার ডিগ্রী কলেজের ২ প্রেমিক যুগলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদের নির্দেশে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিসট্রেড কামাল মোহাম্মদ রাশেদ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে মোসলেকা রেখে ছেড়ে দেয়।
জানা যায়, পুরাণবাজার পূর্ব শ্রীরামদীর ঠিকাদার সোহরাব হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮) পুরাণবাজার ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র। সে দোকানঘর রামদাসদীর আবদুল হাই মিজির বাড়ির মৃদ আঃ লফিত মিজির মেয়ে পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্রীর সাথে কয়েক মাস পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। সেই সম্পর্কের কারণে ঘটনার দিন তারা কলেজে না গিয়ে চৌধুরী হোটেল নিউ শ্যামলী ২১৬নং কক্ষ ভাড়া নেয় অনৈতিক কর্মকান্ড করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাদেরকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করে ছেড়ে দেয়। এ দিকে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজে ও বেশ কিছু স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা কিছু দিন একে অপরের সাথে প্রেম নিবেদন করার পর শহরের হোটেলগুলোতে গিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড চালায়। এদের মধ্যে চাঁদপুর সরকারি কলেজের সামনে হোটেল আকবরী, কালী বাড়ি জে এম সেন গুপ্ত রোড পূরবী মার্কেটের তৃতীয় তলায় হোটেল শেরাটন, হোটেল রজনীগন্ধা, চৌধুরী ঘাট শ্যামলী হোটেল, তাজমহল, বড় স্টেশন সুন্দরবন, রশিদ, সোহাগ হোটেল ও চেয়ারম্যান ঘাট বিটি রোড হোটেল আল রাশিদা ও আল রাজিব হোটেলগুলোতে বহিরাগত থেকে আসা প্রেমিক যুগল, স্কুল পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী, প্রবাসীর স্ত্রী ও ভাসমান পতিতাদের সমাগম লক্ষ করা যায়। ইদানিংকালে এইসব হোটেলগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালালেও এ অনৈতিক কর্মকান্ড কমেনি। প্রশাসনের নজরদারী হোটেলগুলোতে না থাকায় তারা দিনের পর দিন এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ায় যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরী এভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তেমনি সামাজিক অবক্ষয় বেড়ে যাচ্ছে।