মনিরুজ্জামান বাবলু
মফস্বল থেকে সাফল্যের দৌড়গোড়ায় এগিয়ে চলছে রুনা আক্তার। সে চলিত বছরের ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ ১০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯৮ তম স্থান অর্জন করেছেন। তার বাবা প্রবাসী। স্বামীও বিদেশ থাকেন। চালিয়ে যাচ্ছেন পড়া-লেখা। দমাতে পারেনি কোন বাধা-বিপত্তি।
মফস্বলের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ। চলতি বছরে সে এই কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। কলেজে শিক্ষকবৃন্দ রুনার এই সাফল্যকে নিয়ে খুব গর্বিত। তাদের দাবী জেলার একমাত্র এই সাফল্য।
ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী রুনা আক্তার স্থানীয় প্রবাসী গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। সে এসএসসি’তে জিপিএ ৫ পেয়ে ভর্তি হয় এই কলেজে। কিন্তু অজোপাড়াগাঁয়ের এই শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি যোগ্যতা অর্জন করায় এলকাবাসী উৎফুল্ল।
উপজেলার সেরা বিদ্যাপীঠগুলোর মধ্যে অন্য কোন শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেলে কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়নি। শুধুমাত্র ধড্ডা কলেজ থেকে এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ফলে শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও এলকাবাসী সবাই আনন্দিত। একই কলেজ থেকে ঢাবি’র ভর্তি পরীক্ষায় রাজিব নামের আরেক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছে।
কলেজের দেয়া তথ্যানুযায়ী দেখা গেছে, ২০১৩-২০১৪ শিক্ষা বর্ষে কলেজ থেকে এইচএসসি‘তে ২শ ২৯ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২’শ ৯ জন পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পায় ২০ জন। এ পায় ১শ ৩২ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে শতভাগ পাশ করেছে। জিপিএ ৫ পায় ৩ জন। এই ৩ জনের মধ্যে রুনা আক্তার ১ জন। এর আগে ২০১১ সালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে সেরা ২০ এর মধ্যে ১৪ তম স্থান অর্জন করে কলেজটি।
জানা যায়, চলিত বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৬৯ হাজার শিক্ষার্থী মধ্যে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেয়। যোগ্যতা অর্জনকারী এই ১০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে রুনা আক্তার ৯৮ স্থান অর্জন করেছে। একই বর্ষে এই করেজের আরেক শিক্ষার্থী রাজিব ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়।
জানতে চাইলে প্রতিক্রিয়ায় রুনা আক্তার বলেন, বাবা-মা- স্বামীসহ শিক্ষক ও এক মামার অনুপ্রেরণায় এতটুকু পর্যন্ত এসেছি। ভবিষ্যতে দেশের সেবা করার লক্ষ্যে সকলের দোয়া কামনা চেয়েছেন। মফস্বলের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ভালেভাবে পাঠদানে তাদের মনোযোগী করে গড়ে তোলেছেন।
ধড্ডা মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, উপজেলায় অনেক নামী-দামী কলেজ আছে। এ কলেজে ভালো মানের শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। আমাদের প্রচেষ্টা হলো ভালো মানের শিক্ষার্থী তৈরী করা, পাশ করা।