চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বর সংলগ্ন ‘চাঁদপুর টাওয়ার’ নামে বিশাল বাণিজ্যিক ভবনটির পুরোটারই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। ১১ লাখ টাকা বিল বকেয়ার দায়ে এ বাণিজ্যিক ভবনটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। গত ১ আগস্ট কুমিল্লা বিদ্যুৎ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিজে সশরীরে উপস্থিত থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ মার্কেটটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। আর এ বিষয়ে চাঁদপুর পিডিবির এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে ‘চাঁদপুর টাওয়ার’ ভবনের তিন মালিকের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। চাঁদপুর পিডিবি অফিসে গতকাল রাতে যোগাযোগ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
সাত তলা বিশিষ্ট ‘চাঁদপুর টাওয়ার’ নামে এ বাণিজ্যিক ভবনটির নির্মাণ কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয় নি। নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় শুধু মার্কেট চালু হয়েছে। মার্কেটে এখন চালু অবস্থায় আছে প্রায় অর্ধশত দোকান। গত ক’দিন ধরে এ মার্কেটের দোকানগুলো বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় দেখা যায়। জেনারেটরের সাহায্যে সন্ধ্যা থেকে দোকানগুলোতে আলো জ্বালানো হয়। কারণ হিসেবে কয়েকজন দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা গেলো, বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার কারণে পুরো মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
এ তথ্য জানার পর এ প্রতিবেদক গতকাল রাতেই চাঁদপুর পিডিবির সহকারী প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেনের সাথে এ বিষয়ে জানতে চান। তিনি জানান, চাঁদপুর টাওয়ার নামে প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিভাগ ১১ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল পাওনা। তিন বছরে এই বকেয়া বিল জমেছে। এই বিশাল অংকের বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের কারণে গত ১ আগস্ট কুমিল্লা বিদ্যুৎ আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চাঁদপুর টাওয়ার ভবনটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। আর এই ভবনের তিন মালিকের বিরুদ্ধে চাঁদপুর পিডিবির একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে বিদ্যুৎ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবাদী তিন মালিকের মধ্যে প্রধান হচ্ছেন সালেহ আহমদ। তিনি আরো জানান, এ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মার্কেটটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে। এক প্রশ্নের আলোকে তিনি বলেন, প্রতিমাসে ২/১ বার কুমিল্লা বিদ্যুৎ আদালত থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত চাঁদপুর আসে। তাঁরা অবৈধ বিদ্যুৎ গ্রাহক, বকেয়াধারীসহ অন্যান্য মেজর বিষয়গুলো দেখেন। এ প্রক্রিয়ারই অংশ হিসেবে ১ আগস্ট ভ্রাম্যমাণ আদালত চাঁদপুর আসে।