শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
মার্চ-এপ্রিল ২মাস ষাটনল থেকে চর আলেকজেন্ডার পর্যন্ত ১শ’ কি.মি. নদীতে সব ধরনের জাল ফেলে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। জেলেদের জীবন নির্বাহের জন্য প্রতি জেলেকের মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার জন্য অনুমোদন গ্রিহীত হয়। সেই লক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদে সকার ৮টা থেকে জেলেদের জাটকার চাল দেওয়া শুরু হয়। সরকারের পূর্ব নির্ধারিত নির্দেশ অনুযায়ী ৪০ কেজি করে প্রতি জেলেকে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও অসহায় জেলেদের ধোকা দিয়ে ৪০ কেজি না দিয়ে ৩০-৩২ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। চান্দ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউসুফ কেরানি অসুস্থতার কারনে জেলেদের জাটকার চাল উত্তোলনে কিছুটা ব্যাহত হয়। পরে ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার সিদ্দিকুর রহমান বেপারিকে প্যানেল চেয়ারম্যান মনোনিত করে তার নাম জাটকার চালের ডিউ অনুমোদন করা হয়। সিএসডি গোডাউন থেকে ৭শ’ ২২ বস্তা মোট ৩৫ হাজার ৮শ’ মেট্রিক টন চাল জেলেদের জন্য আনা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় শত শত জেলে ইউনিয়ন পরিষদের বাহিরে চালের জন্য দাড়িয়ে রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের দরজা আটকে রেখে ভিতরে বস্তা থেকে চাল কমিয়ে স্কেলে ওজন দিয়ে ৩০-৩২ কেজি মাপ দিয়ে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। কিছুক্ষন পর পর জেলেদের ভিতরে ঢুকিয়ে চাল বিতরন করা হয়। সকালে মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুর রহমান ও সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আলম চাল বিতরন উদ্বোধন করে যান। দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সফিউল্লাহকে দুপুরে গিয়ে দেখা যায়নি। ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রায় ৫টি ওয়ার্ডের জেলেদের মাঝে চাল বিতরন করা হয়েছে। শনিবার কিংবা রবিবারে দেওয়া হবে বলে জানাযায়। চাল নিতে আসা বেশ কয়েকজন জেলে জানায়, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরনে ব্যাপক দূর্নীতি করেছে দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা। এ বছর প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কেজি চাল জেলেদের কম দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান ইউসুফ কেরানীর নির্দেশে প্যানেল চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বেপারি চুরি করা চালগুলো মোট অংকোর টাকায় বিক্রি করে নিজেরাই ভাগ বাটওয়ারা করে নিয়েছে। এছাড়া যাদেরকে চাল দিয়েছে তাদের অধীকাংশরা জেলে নয়। প্রকৃত জেলেরা চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। রাজনৈতিক দলের কিছু নেতাদের রেখে চাল দেওয়া হয়েছে। যাতে করে কেউ প্রতিবাদ করলে নতোরা তাদেরকে দমন করতে পরে। অসহায় জেলেরা কম চাল পেয়েও তাদের ভয়ে মুখ খুলতে ও প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। এ ব্যাপারে সিদ্দিকুর রহমান বেপারির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে এই পরিমান চাল বিতরন করা হয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলেও কোন লাভ হবে না।
শিরোনাম:
সোমবার , ১২ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।