ঢাকা: ১২০০ থেকে ১৫০০ রিয়েলের কমে শ্রমিক পাঠানো হবে না, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর এমন ঘোষণার একদিন পরই সৌদি আরবের সঙ্গে জনশক্তি রপ্তানি সংক্রান্ত চুক্তিতে সর্বনিম্ন বেতন মাত্র ৮০০ রিয়েল নির্ধারণ হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ সাত বছর পর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২০ হাজার গৃহকর্মী নেয়ার চুক্তি করলো তেল সমৃদ্ধ সৌদি আরব।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রবাসীকল্যাণ ভবনে প্রবাসীকল্যাণ সচিব মো. ইফতেখার হায়দার ও সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপমন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাইদ এই সমঝোতা স্মারক সই করেন।
এগ্রিমেন্ট অন ডোমেস্টিক সার্ভিস ওয়ার্কার্স চুক্তি অনুযায়ী মোট ১২ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে সৌদি আরব। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে দেশটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জনশক্তি রপ্তানি শুরু হলো বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসীকল্যাণ সচিব মো. ইফতেখার হায়দার। তবে সৌদি আরব শুধুমাত্র গৃহকর্মী নিতে সম্মত হয়েছে বলে জানান তিনি।
মো. ইফতেখার হায়দার বলেন, ‘গৃহস্থালি খাতে যে ১২টি পেশা রয়েছে। শুধু গৃহকর্মীদের নূন্যতম মজুরি ৮০০ রিয়েল নির্ধারণ করা হয়েছে।’ বাকি পেশাগুলোর ক্ষেত্রে কোনো মজুরি নির্ধারণ হয়নি বলেই জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘কোনো মানদণ্ড ঠিক করিনি কারণ শ্রমিকরা অভিজ্ঞ হলে আরো বেশি মজুরি পেতে পারে।’ তবে ৮০০ রিয়েলের কম মজুরিতে কোনো শ্রমিক যাবে না বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
এদিকে মাত্র একদিন আগেই সৌদি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘সৌদি আরবে ১২০০ থেকে ১৫০০ রিয়েলের কমে কোনো শ্রমিক যাবে না।’
চুক্তির বিষয়ে সৌদি উপমন্ত্রী ড. আহমেদ আল ফাহাইদ বলেন, ‘কর্মীদের দক্ষতার উপরই তাদের মজুরি নির্ধারিত হবে।’ এছাড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের সব ধরনের অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি কর্মীদের থাকা খাওয়ার খরচ চাকরিদাতারা বহন করবে বলেই জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক নিতো সৌদি আরব।