পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনার ৯ বছর পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর মারা যাওয়ার ১২ বছর পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ডাঃ মোঃ রফিক আহমেদ (৫০) নামে ওই ব্যক্তির লাশ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হাজীগঞ্জের কাজিরগাঁও দরগাহবাড়ির পারিবারিক গোরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়। হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার লাশ উত্তোলন করে সিআইডির একটি টিম। এর আগে ২০০৬ সালের ২৩ জুন দরগাহবাড়ির মৃত আবদুল মতিনের ছেলে ডাঃ রফিক আহমেদ ফজর নামাজের অজু করতে গিয়ে পানিতে পড়ে মারা যান বলে এমন ঘটনাই তখন এলাকার মানুষ জানতো। কিন্তু ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ডাঃ রফিকের এক ভাই আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতেই ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ গতকাল মঙ্গলবার রফিকের লাশ উত্তোলন করা হয়।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২৩ জুন রফিক মারা যাওয়ার প্রায় ৯ বছর পর ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তার ভাই ডাঃ মনির হোসেন ভাইকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন । যার নং জিআর ১২। ধারা প্যানেল কোড ৩০২/৩৪/৫০৬(২)। মামলায় নিহতের আরেক ভাই শহীদ, আপন চাচা মৃত ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন ও মোঃ হারুন, আপন মামা শাহরাস্তি উপজেলার আবদুল মান্নানের ছেলে আঃ মমিন, সহদোর ৪ বোন নারগীস, জাহানারা, তাহমিনা ও শামসুন্নাহারকে আসামী করা হয়।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তখন হাজীগঞ্জ থানায় তদন্তের জন্যে প্রেরণ করেন। থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান পাটওয়ারী দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি ডাঃ রফিক আহমেদ পানিতে ডুবে মারা গেছেন মর্মে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করেন। যার চূড়ান্ত রিপোর্ট নং ১৭৩ (২)।
এদিকে মামলার বাদী মনির হোসেন মামলার ফাইনাল রিপোর্টের উপর নারাজি এবং এ মামলাটি সিআইডিতে প্রেরণের জন্যে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশে ২০১৮ সালের ১৩ এপ্রিল মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। যার স্মারক নং প্রশাসন/আরও ০৭-২০১৭/১৭৬১/০১(১৮)। মামলাটি সিআইডি চাঁদপুর-এর পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম তদন্ত করছেন।
সিআইডির পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে লাশের ময়না তদন্তের জন্যে মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। এটি চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম মীর, সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল মান্নান ও হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিমউদ্দিন।