চাঁদপুরের মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা ও জেলার বাসীর প্রাণের মেলা শুরু হচ্ছে ১ ডিসেম্বর থেকে। মেলাকে ঘিরে সকল কাজ প্রায় সম্পন্ন। জেলার বাইরের দোকানীরা ও জেলার দোকানীরা তাদের দোকান সাজাতে ব্যাস্ত সময় অতিবাহিত করছে। বিগত ২২টি বছরের ন্যায় জেলার সাংস্কৃতিক অংগন ব্যাস্ত তাদের মঞ্চ নাটক সাংস্কৃতক অনুষ্ঠান পরিবেশনের রিহেরসাল নিয়ে। ১ ডিসেম্বর মেলার সূচনা হলেও মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে ৮ ডিসেম্বর সোমবার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দু’টি ভাগে বিভক্ত। সকাল সারে ১০টায় প্রথম পর্বে মেলার উদ্বোধন করবেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। বিকেলে দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিথ থাকবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুলী মায়া বীর বিক্রম এমপি। দুইটি পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিথ থাকবেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া এমপি, জেলা প্রশাসক মোঃ ইসমাইল হোসেন, পুলিশ সুপার মোঃ আমির জাফর, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নুরুল হক বাচ্চু মিয়াজী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহম্মেদ, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমদে মানিক, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মাষ্টার, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান মোঃ সফিকুজ্জামান, জেলা সিপিবি সভাপতি কমরেড মনিষা চক্রবর্তী, জেলা গণফোরাম সভাপতি অ্যাড. সেলিম আকবর। প্রথম পর্বে সভাপতি বিজয় মেলার চেয়রাম্যান অ্যাড. একেএম সলিম উল্যা সেলিম ও দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করবেন বিজয় মেলার স্টিংারিং কমিটির সভাপতি ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ।
এবছর মেলায় ১৩৭ স্টলে বিভিন্ন প্রকারের পসরা সাজিয়ে বসছে দোকানীরা। এরমধ্যে থাকছে প্রসাধনী, কুটির শিল্প, মেয়েদের অলংকার, শীতবস্ত্র, দৈনন্দিন তৈজসপত্র ও বইয়ের দোকান। মেলা মঞ্চের দক্ষিণ দিকে থাকছে পলাশী থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত স্থির প্রদশর্ণী। মেলার এবছর জেলার ৫৪টি সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ গ্রহণ করছে। এর মধ্যে নাট্য দল রযেছে ১১টি। এছাড়ার বিকেলে মেলা মঞ্চে বিকেলে থাকছে বির্তক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যায় দেশবরেন্য মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান।
মেলাকে শান্তিপূর্নভাবে সম্পন্ন করতে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সপুারকে আহবায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া মেলামাঠ ও রাস্তার বিভিন্ন দিকে থাকছে ক্লোজ সার্কিট কেমেরা। একটি কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে।
শিরোনাম:
রবিবার , ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ৩১ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।