২০২২ সালে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট-২০২২ এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত বছরের ২ জানুয়ারি ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার ছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা, যা ১ ডিসেম্বর দাঁড়ায় ১০৫ টাকা ৪০ পয়সায়। গতকাল ছিল ১০৯ দশমিক ৫০ পয়সা। টাকার এই অবমূল্যায়ন সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল করতে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ১৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল।
মূলত করোনা মহামারির পরে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়, যা গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর আরও খারাপ হয়। ঐ যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহব্যবস্থা বিঘ্নিত হয় এবং ডলারের বিপরীতে বেশির ভাগ দেশের মুদ্রার দরপতন হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর চীনা ইউয়ান, ভারতীয় রুপি, জাপানি ইয়েন এবং ইন্দোনেশিয়ান রুপিসহ প্রধান আমদানি দেশগুলোর মুদ্রার উল্লেখযোগ্য দরপতন হয়েছে। পাকিস্তানি রুপির ২২ শতাংশ দরপতন হয়েছে, যা সবচেয়ে বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানি ইয়েনের দরপতন হয়েছে ১৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছর মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরোর দর ৬ শতাংশ এবং ইউকে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ১০ শতাংশ দরপতন হয়েছে। তবে, ২০২২ সালে রাশিয়ান রুবল ও সিঙ্গাপুরি ডলারের দর বেড়েছে যথাক্রমে ২ শতাংশ ও ১ শতাংশ।