চাঁদপুর জেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্যে হাজীগঞ্জের পশ্চিম-উত্তরাঞ্চলের মানুষের একমাত্র সংক্ষিপ্ত পথ মহামায়া-রাজারগাঁও রাস্তা। কিন্তু রাস্তার কিছু অংশ কাঁচা হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে কাদাযুক্ত হয়ে যানবাহন চলা তো দূরের কথা, মানুষ পায়ে পর্যন্ত হাঁটতে পারে না।
মহামায়া-রাজারগাঁও রাস্তাটি চাঁদপুর সদর, মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জ উপজেলা সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা। গত ২৫ বছর ধরে মহামায়া থেকে রাজারগাঁও রাস্তার পাকাকরণ হয়েছে প্রায় ৯০ ভাগ। ৩ উপজেলার অংশের মধ্যে চাঁদপুর সদর ও মতলব উপজেলার অংশ পুরো এবং হাজীগঞ্জ উপজেলা অংশের ১ কিলোমিটার পাকাকরণ করা হয়েছে। তবে হাজীগঞ্জ উপজেলা অংশের ৭০০ মিটার পাকাকরণ করা হয়নি। তার একমাত্র কারণ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফলতি।
সরজমিনে গেলে জনৈক ষাটোর্ধ্ব লোক বলেন, আমরা সত্যিই হতভাগা যে, চাঁদপুর, মতলব ও হাজীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী রাস্তার পাশে জন্মগ্রহণ করেছি। মহামায়া থেকে রাজারগাঁও পর্যন্ত পাকা রাস্তা করতে প্রায় ২৫ বছর লেগে গেলো! কিন্তু হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও অংশের ৭০০ মিটার রাস্তা পাকাকরণের কাজ বাকি রয়ে গেলো। যা পাকাকরণ হয়েছে, তার আবার কার্পেটিং উঠে গিয়ে কাঁচা রাস্তার সাথে মিশে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। তিনি দুঃখের সাথে বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার ওপর হাঁটু পর্যন্ত কাদা সৃষ্টি হয়। এতে করে লোকজন ও পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা যাতায়াত করতে পারে না। অনেক সময় জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যেতে হলে বাকিলা, দেবপুর হয়ে যেতে হয়। এতে সময় ও আর্থিক দুটোই ক্ষতি হয়।
সিএনজি অটোরিকশার এক ড্রাইভার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাই। মাহামায়া থেকে রাজারগাঁও পর্যন্ত যাতায়াত করতে অনেক সময় ব্যয় হয়। রাস্তার ভঙ্গদশা এবং পাকাকরণ না হওয়ায় যাত্রীসাধারণের প্রয়োজনের তাগিদে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো সম্ভব হয় না। যাত্রীসাধারণের অনেক প্রয়োজনীয় সময় ব্যয় হয় এবং বিভিন্ন কথা শুনতে হয়। রাস্তাটি অতি দ্রুত পাকাকরণ না হলে যানবাহন তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষও চলাচল করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন পূর্বে রাজারগাঁওয়ে একটি বাড়িতে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। কিন্তু রাস্তার সমস্যার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে দেরি হয়। সময়মতো ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি না আসায় ওই বাড়িতে দুটি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি সংসদীয় আসনের এমপি মহোদয় রাজারগাঁও-মহামায়া রাস্তাটির বাকি অংশ দ্রুত পাকাকরণে ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন বলে ভুক্তভোগীরা মনে করেন।