চাঁদপুর শহরের দোকান ঘর রামদাসদী আশ্রায়ন প্রকল্পে ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষন করেছে স্থানিয় বখাটে রিদয় নামে এক যুবক। ধর্ষনের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্থানিয় আশ্রায়ন প্রকল্পের তথাকথিত কমিটির কয়েকজন দালাল চক্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। লোমহর্ষক এ ঘটনার পরেও দালাল চক্ররা ধর্ষনের শিকার শিশুটিকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনতে না দিয়ে তাকে ঘরে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। এছাড়া বিভিন্ন হুমকি দেয় যেন বিষয়টি কাউকে না জানায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মেঘনা নদীর পাড়ে রামদাসদী আশ্রায়ন প্রকল্পে গিয়ে মা হারা এতিম শিশুটি তার দাদী সাহেরা খাতুনের কাছে বিছানায় বসে থাকতে দেখা যায়। জানাযায়, গত বুধবার দুপুর ২টায় হটাৎ বৃষ্টি শুরু হলে শিশু সুমাইয়া বাইরে থাকা অবস্থায় আশ্রায়ন প্রকল্পের ৬২ নাম্বার কক্ষের লিটনের ছেলে লম্পট রিদয় তাকে জোরপুর্বক আশ্রায়ন প্রকল্পের কর্নারে বোবার ঘরের পাশে নিয়ে যায়। এরপর তাকে মুখে চাপা দিয়ে জোর পুর্বক ধর্ষন করার চেষ্টা চালায়। এ সময় বোবার ঘরের পাশের ঘরের আজুদা বেগম তার মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে এ ঘটনাটি দেখে ফেলে। পরে আজুদা ধর্ষক রিদয়ের গলায় চাপা দিয়ে ধরে শিশুটিকে রক্ষা করে। আজুদাকে ধাক্কা মেরে রিদয় পালিয়ে যায়। ঘটনাটি আজুদা শিশুটিকে উদ্ধার করে তার দাদী সাহেরা খাতুনকে এসে জানায়। শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় স্থানিয় আশ্রায়ন প্রকল্পের তথাকথিত কমিটির বাইন্না বাড়ীর মৃত রশিদের ছেলে সেলিম সহ কয়েকজন দালাল চক্র শিশুটির দাদিকে বাঁধা দেয় এবং ঘরে রেখে চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়ার জন্য বলে। এ বিষয়ে কাউকে না জানালে ঘর থেকে উচ্ছেদ করবে বলে বিভিন্ন হুমকি দেয়। দালাল চক্ররা ধর্ষকের পিতা লিটনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ঘটনাটি স্থানিয় ভাবে সমাধান করবে বলে জানায়।
তার দাদী সাহেরা খাতুন জানায়,গত ৩ বছর পুর্বে তার ছেলে সুমন মিজির স্ত্রী মায়া বেগম শ্বশুরবাড়ী নেঅযাখালিতে সন্তান প্রসবের সময় মারা যায়। তার পর থেকে তিনি শিশু সুমাইয়াকে লালন পালন করে আসছে। ঘটনার দিন হটাৎ বৃষ্টি শুরু হলে ঐ সুযোগে লম্পট রিদয় মা হারা এতিম শিশূ সুমাইয়াকে টেনে বোবার ঘরের পাশে নিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।
শিরোনাম:
সোমবার , ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।