কবির হোসেন মিজি
৫ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত ৮টার সংবাদের পর বিটিভিতে প্রচারিত হবে চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেডে রেকর্ডিং হওয়া জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি। টেলিভিশন অনুষ্ঠানকে স্টুডিওর চার দেয়ালের বাইরে নিয়ে এসে প্রকৃতির সৌন্দর্য ধারণ করার জন্য গত ১৪ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেডের পদ্মা, মেঘনা, ডাকাতিয়াসহ তিনটি নদীর মোহনায় ইত্যাদির পরবর্তী পর্ব ধারণ করা হয়। কোটি মানুষের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির পরবর্তী পর্ব চাঁদপুরে ধারণ করার কথা শুনেই চাঁদপুরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। শুটিং স্পর্টে ঢুকে ইত্যাদি অনুষ্ঠান দেখতে কেউ কেউ টিকেট সংগ্রহের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন। এক একটি টিকেট যেনো একটি সোনার হরিণ। অনেকের কাছেই শোনা যায় কোনো কোনো ব্যক্তি ইত্যাদির অনুষ্ঠান দেখতে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় টিকেট ক্রয় করার জন্য সন্ধান চালিয়েছে। কিন্তু তবুও তাদের ভাগ্যে জোটেনি একটি টিকেট। ওইদিন দুপুর এবং বিকেল থেকেই চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা শহরের আশপাশের অনেক উৎসাহী দর্শক বড় স্টেশন এলাকায় এসে ভিড় জমাতে থাকেন। যারা গেট পাশ সংগ্রহ করেছেন তারা বিকেল ৩/৪টা থেকেই গেটপাশ দেখিয়ে ভেতরে ঢুকে বসার আসন দখল করে রাখেন। সন্ধ্যা হতেই ছোট বড় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের প্রচণ্ড উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এক পর্যায়ে গেট দিয়ে ঢুকতে গিয়ে অনুষ্ঠান দেখার জন্য কার আগে কে যাবে এ নিয়ে ঘটে এক হযবরল অবস্থা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। কেউ কেউ টিকেটের বিনিময়ে ভিতরে ঢুকতে না পেরে নৌকা দিয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছেন কেউবা আবার ভালোভাবে ইত্যাদি অনুষ্ঠান দেখতে না পেরে রাতের বেলায়ও গাছ বেয়ে উপরে উঠে গাছে বসে বসে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। অনুষ্ঠান দেখার জন্য সুধীজনদের গেট পাশ দেয়া হলেও উৎসুক অনেক দর্শকই ইত্যাদির অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাঁশের বেড়া ও গেট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ইত্যাদির অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে অনুষ্ঠান চলে গভীর রাত পর্যন্ত। ফাগুন অডিও ভিশনের প্রযোজনায় ইত্যাদির নির্মাতা জননন্দিত তারকা হানিফ সংকেত পূর্বের ন্যায় একই ধারাবাহিকতায় এবারের ইত্যাদি অনুষ্ঠানটিও সাজিয়েছেন। এবারো যথারীতি থাকছে মামা-ভাগ্নের ব্যবসার কথা, নানী-নাতী ও চিঠিপত্র বিভাগ। সে সাথে রয়েছে খণ্ড খণ্ড কমেডি নাটিকা, থাকছে গান এবং নৃত্য। এবারের নৃত্য পর্বে চাঁদপুরের ইতিহাস নিয়ে রচিত বাবু সালাম বারে বার গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করছে চাঁদপুরের বিভিন্ন সংগঠনের এক ঝাক নৃত্য শিল্পী। নৃত্য পরিচালনা করেছেন দেশখ্যাত নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ। এছাড়াও চাঁদপুরের ঐতিহ্য তিনটি নদীর নামে কবির বকুলের রচনায় পদ্মা, মেঘনা ডাকাতিয়া গানের শিরোনামে কণ্ঠ দিয়েছেন চাঁদপুরের কৃতী সন্তান জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এসডি রুবেল, দিনাত জাহান মুন্নি, শাদি মোহাম্মদ ও রূপালী চম্পক। ইত্যাদির সবচে’ আকর্ষণীয় এবারের দর্শক পর্বের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন চাঁদপুরের বহু পরিচিত মুখ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন আল রশিদ, জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডাঃ হারুন অর রশিদ সাগর, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেরিন ও মিসেস সুমি নামে এক নারী। যাদেরকে আগামী ২৮ নভেম্বর শুক্রবার রাত ৮টার সংবাদের পর ইত্যাদি অনুষ্ঠানে দেখা যাবে। সে সাথে দেখা যাবে চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী স্থান বড় স্টেশন মোলহেডের ভিন্ন চিত্র।
শিরোনাম:
সোমবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।