ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে তিন দফা বেড়ে এখন খুচরা বাজারে পেঁয়াজ মানভেদে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ প্রচুর, দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি ভারতের পেঁয়াজও আছে। তার পরও দাম বেশি।
পাইকারি ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, এখন দাম বেশি থাকলেও কিছুদিনের মধ্যে কমে আসবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে এখন দেশি যে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে তা মুড়িকাটা পেঁয়াজ। মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রায় শেষ হয়ে আসায় দাম বেড়েছে। তবে মেহেরপুরের পেঁয়াজ (আকারে বড়) আসতে শুরু করেছে বাজারে। এ ছাড়া আগামী সপ্তাহে হালি পেঁয়াজও বাজারে আসবে। তখন পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ভাটারা থানার নতুন বাজার, জোয়ার সাহারা ও নদ্দা মোড়ল বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৬০ টাকার নিচে বাজারে কোনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না। ভালো মানের পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকায় এবং ভারতের বড় পেঁয়াজও ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের এমন দাম বাড়ায় অস্বস্তি প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শুধু পেঁয়াজ না সব কিছুর দামই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে তেল, চাল, ডালসহ সব নিত্যপণ্যের দাম।
জোয়ার সাহারা বাজারে ক্রেতা আবুল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত মাসে দুই কেজি পেঁয়াজ কিনেছি ৪৫ টাকা করে। এখন বাজার ঘুরে কোথাও ৬০ টাকার নিচে পেঁয়াজ পাচ্ছি না। তাও বেশির ভাগ পচা। একটু ভালো মানের পেঁয়াজ ৭০ টাকা। ’
জানতে চাইলে নদ্দা মোড়ল বাজারের খুচরা বিক্রেতা আব্দুল লতিফ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত সপ্তাহেও মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছি।
এখন আমাদেরই ভালো মানের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৬০ টাকার বেশি কিনতে হয়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে তো আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হবে। ’ নতুন বাজারের ব্যবসায়ী রিয়াদ হোসেনও বললেন একই কথা।
পাইকারি পেঁয়াজের বাজারের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পেঁয়াজ আমদানিকারক হাজি মো. মাজেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, এখন বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তি থাকলেও আগামী কিছুদিনের মধ্যেই কমে আসবে। তিনি বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজ মানভেদে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি।