নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় এমভি আশরাফ উদ্দিন লঞ্চডুবির ঘটনায় চালকসহ ঘাতক জাহাজ এমভি রূপসী-৯-এর সকল স্টাফ ও কর্মীদের আটক করেছে নৌ পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় জাহাজটি নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও মেঘনা ঘাট এলাকা থেকে আটক করা হয়।
তাদের আটকের খবর নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের এসপি মীনা মাহমুদা। তিনি বলেন, ‘ওই জাহাজটির চালকসহ সবাইকে আটক করা হয়েছে।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ‘
এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ছয়জনের মধ্যে তিনজন নারী, একজন পুরুষ ও দুই শিশু রয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে প্রায় ২০ জন। দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এখনো নদীতে নিখোঁজদের অভিযানে তল্লাশি করছে ফায়ার সার্ভিস। রবিববার (২০ মার্চ) দুপুর ২টা ১০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের চর সৈয়দপুরের আলামিননগরের ব্রিজের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) শামীম বেপারীকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিআইডাব্লিউটিএ) ড. আ ন ম বজলুর রশিদকে প্রধান করে তিন সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা সার্কেল এসপি নাজমুল হাছান বলেন, ‘আমরা শুনেছি এ ঘটনায় ২০ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছে। নদীতে তল্লাশি চলছে। ‘
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এডিএম শামীম বেপারীকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আজ রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে। প্রত্যেক লাশের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে এবং নিখোঁজদের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত নদীতে তল্লাশি চলবে।