প্রতিনিধি
ঢাকা-চাঁদপুর নৌ রূটে চলাচলকারী লঞ্চ মালিক ও প্রতিনিধিদের সাথে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নৌ-নিরাপত্তা জোরদার করার জন্যে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ-এর পক্ষ থেকে এ সভার আয়োজন করা হয়। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল ইসলাম, চাঁদপুর নৌ পুলিশের রিজিওনাল এএসপি বি এম নুরুজ্জামান বিপিএম, নৌপুলিশের সিনিয়র এএসপি মহিউদ্দিন ও চাঁদপুর নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর নৌপুলিশের এসআই মনির হোসেন, চাঁদপুর পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াছ, ঝমঝম-২-এর পরিচালক মুন্না খান, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রহিম মিজি, সেক্রেটারী ডাঃ জুয়েল, কমিউনিটি পুলিশ অঞ্চল-৭ সভাপতি জয়নাল সর্দার, সেক্রেটারী নুরুজ্জামান কালু, রফরফের সুপারভাইজার ইউসুফ আলী বেপারী, ঈগল ও ময়ুরের সুপারভাইজার আলী আজগর, আব-এ-জমজম চাঁদপুরের সুপারভাইজার শওকত বেপারী, ইচলী ঘাটের বিপ্লব সরকার, প্রিন্স অব রাসেলের রুহুল আমিনসহ ঢাকা-চাঁদপুর রূটের বিভিন্ন লঞ্চের মালিক প্রতিনিধিগণ।
মতবিনিময় সভায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সময়ে নিরাপদ রূট হিসেবে মানুষ লঞ্চকে বেছে নিয়েছে। লঞ্চ যাত্রীরাও এতে বেশি সেবা পাচ্ছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সিকউরিটি নিশ্চিত করা প্রত্যেক লঞ্চ মালিকের দায়িত্ব। বিশেষ করে রাতের বেলা চলাচলকারী লঞ্চগুলোতে অস্ত্রধারী আনসার নিতে হবে। যে সমস্ত লঞ্চে আনসার নেই, প্রশাসনের কাছে দরখাস্ত দিলে আনসারের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। আমরা চাই লঞ্চগুলোতে আজ থেকে প্রাইভেট সিকউরিটি ও আনসার বাহিনী নিয়োগ দেয়া হোক। তাঁরা আরো বলেন, লঞ্চে উঠার সময় যাত্রীদের উদ্দেশ্যে মাইকে সতর্কতামূলক কিছু কথা বলতে হবে। চাঁদপুর রূটে চলাচলকারী ২টি লঞ্চে সিসি ক্যামেরা আছে। বাকিগুলোতে সিসি ক্যামেরা ও মেটাল ডিটেক্টর ৭দিনের মধ্যে সংযুক্ত করতে হবে। লঞ্চ মালিকরা এসব করবেন। চলাচলকারী লঞ্চগুলোক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যাতে করে যাত্রীরা ভালো মানের সেবা পায়।