স্টাফ রিপোর্টার
নানার বাড়ীতে থেকে পড়া-লেখা করছিল। সবেমাত্র দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ছিল। রাতে ঘর থেকে বেরিয়ে ছিল। হঠাৎ লম্বা-কালো একটা লোক এসে বাগানে কোলে তুলে নিয়ে গেল। তারপর হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন দ্বিতীয় শ্রেণীর এই শিক্ষার্থী। বয়স মাত্র ৭ বছর। শিশুটি এখন চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সে ফরিদগঞ্জ উপজেলার লাউড়া গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হাজারী মেয়ে। নানার বাড়ী জেলার হাইমচর উপজেলার ৩নং আলগী দক্ষিণ ইউনিয়েনর পূর্বচরকৃজ্ঞপুুর গ্রামে। সেই গ্রামের মজিবুর রহমানের মিজি নাতনী। আলগী আখন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুন সোমবার রাতে চাঁদপুর সদর উপজেলার মোঃ ফারুক মোল্লার ছেলে শাহআলম মোল্লা ( ৩০) শিশুটিকে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে । শিশুটির চিৎকার শুনে মেয়ে নানী তাকে উদ্ধার করে। স্থানীয়রা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। কর্তব্যরত ডাক্তার শিশুর অবস্থা গুরুতর দেখে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালের নির্যাতন সেল ব্রেডে মৃত্যুর সাথে পাজ্ঞা লড়ছে।
এ ব্যাপারে হাইমচর থানায় শিশুটির নানা মজিবুর বাদী হয়ে মোঃ শাহ আলম মোল্লা কে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৫, তাং ১৭/০৬/ ১৪ইং।
এ ব্যাপারে মেয়ের নানী জানান, আমি পাশের বাড়িতে টিভি দেখতে যাই। কিছুক্ষণ পর শিশুটির চিৎকার শুনে ছুটে যাই। শাহআলম মোল্লার সাথে দীর্ঘ দিনের পূর্বের শত্রুতা রয়েছে। সেছাড়া এই কাজ কেউ করতে পারে না।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি জানায়,‘ আমারে লম্বা-কালো একজন লোক মুখে চাপা দিয়ে কোলে তুলে নিয়ে বাগানে যায়।’
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হালিম জানান, শিশুটির চিকিৎসা চলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
হাইমচর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৭ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।