শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নে মেঘনা নদীর পাড়ে ঝাটকা উদ্ধার অভিযানকালে পুলিশের উপর দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে জেলেরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ১১ রাউন্ড সর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করেছে। হামলার ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১১ জনের না উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৮০ জন সহ মোট ৯১ জনকে আসামী করে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে হানারচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাত্তার রাঢীর পিছনে নন্দীগো দোকান মেঘনা নদীর পাড় মঙ্গলবার গভির রাতে। জানা গেছে, মার্চ এপ্রিল ২ মাস ইলিশ রক্ষায় সরকার নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষনা করলেও কিছু অসাধু জেলেরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দেদারছে নদীতে ঝাটকা নিধন করছে। প্রতিদিন ভোড় থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত হানারচর ইউনিয়নের হরিনা ফেরী ঘাট সংলগ্ন নন্দীগো দোকান এলাকায় অসাধু জেলেরা মাছ ধরে পাড়ে এনে ক্রয় বিক্রয় করছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই জাকির হোসেন মাত্র ৪জন পুলিশ সদস্যকে সাথে নিয়ে নন্দীগো দোকান মেঘনা নদীর পাড়ে অভিযান চালায়। এসময় জেলেরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জাটকা মাছ ও নৌকা রেখে পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষন পর জেলেরা সংঙ্গবদ্ধ হয়ে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাত বলে হামলা চালায়। পরে তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এসআই জাকির সহ পুলিশ সদস্য আব্দুল হাই, হাসান এসময় আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ১১ রাউন্ড সর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে। পুলিশ সদস্য আহত হবার খবর শুনে চাঁদপুর মডেল থানার অপর টহল দল এসআই অনুফ চক্রবর্তী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করে চত্রভঙ্গ করে দেয়। এর পূর্বেই শত শত মন ঝাটকা ও কারেন্ট জালসহ নৌকা ঘটনাস্থল থেকে জেলেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ তারপরও কিছু জাল ও ১০ মন ঝাটকা সহ একটি নৌকা জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। পরে জালগুলো পুড়িয়ে বিনষ্ট ও জাটকা মাছগুলো গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দেয়। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় এসআই অনুফ চক্রবর্তী বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাকির জানায়, ঘটনার দিন রাত ১২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত অভিযান চলাকালে জেলেরা অর্তকিত ভাবে পুলিশকে লক্ষ করে হামলা চালায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ১১ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে। চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাত্তার রাঢীর বাড়ির পিছনে নন্দীগো দোকান এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় ছাত্তার রাঢী ঘটনা জানতে পেরেও এগিয়ে আসেননি। এ ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহস করা হবে।