
মঙ্গলবার (৪ঠা নভেম্বর) দুপুরে পাসপোর্ট অফিসের দোতলা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন সুবাইরা (১৮), পিতা- সহিসু আলম এবং জুহুরা বেগম (৩৫), পিতা- সোনা আলী। তারা উভয়েই কক্সবাজারের কুতুপালং ২ নম্বর ক্যাম্পের ই-১১ ব্লকের বাসিন্দা বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায়, দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে ওই দুই নারী একসাথে পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশ করেন। এদের মধ্যে সুবাইরা পাসপোর্টের জন্য ব্যাংক ড্রাফট, আবেদনপত্র এবং অন্যান্য সব কাগজপত্র জমা দেন। আবেদনের সাথে তিনি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাজী কামতা গ্রামের ‘রুমা আক্তার’ নামে এক নারীর ভোটার আইডির ভেরিফাইড কপি ও ফটোকপি সংযুক্ত করেন।
কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে সুবাইরা ও জুহুরা জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন। তারা জানান, এক ব্যক্তি সুবাইরাকে সৌদি আরব পাঠানোর কথা বলে তাদের সাথে যোগাযোগ করে। ওই ব্যক্তির মাধ্যমেই তারা পাসপোর্টের জন্য সব কাগজপত্র জোগাড় করেন। তবে তারা দুজনই দাবি করেন যে, ওই লোককে তারা ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না।
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা উত্তম কুমার সাহা বলেন, আসলে শুধু আবেদনপত্র দেখে এ ধরনের রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে বেগ পেতে হয়। আমরা তাদের চেহারা ও ভাষার ধরণ দেখে অনুমান করে পাসপোর্ট গ্রহীতাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করি। ওসব প্রশ্নের মাধ্যমেই এমন রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, বর্তমানে এসবি ক্লিয়ারেন্স বন্ধ থাকায় আমরা আরও বেশি সাবধানি হয়েছি। না হয় এই ফাঁকফোকর দিয়ে এসব রোহিঙ্গারা পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারে। আমরা এক্ষেত্রে আরো বেশি সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়া বলেন, যেহেতু তারা বৈধভাবে কুতুপালং ক্যাম্পে থাকে, তাই তাদের ওই ক্যাম্প প্রধানের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ওই দুই নারী কেন ক্যাম্প থেকে বের হলো, সেই বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্প প্রধানই আইনী পদক্ষেপ নেবেন। আমরা দুই নারীকে ওই ক্যাম্প প্রধানের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করছি।
