চাঁদপুরের মতলবে জন্মগত দুই পা নাথাকা প্রতিবন্ধী হয়েও অতিকষ্ট করে আধুনিক পদ্ধতির (ইভিএম) এর মাধ্যমে আনন্দদিত হয়ে ভোট দিয়েছেন, ভোলানাথ ঘোষ (৩৫) নামে এক যুবক। তিনি রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আনন্দের সাথে ভোট দিয়েছেন মতলব দক্ষিন উপজেলার মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে। সে মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বাগতম জানান।
ভোলানাথের পিতার নাম হেেচ্ছ, বিমল ঘোষ। সে কোন দূর্ঘনায় ২টি পা’হারাননি। সে জন্মগত ভাবে ২টি পা’নাথাকায় প্রতিবন্ধী হিসেবে জন্ম থেকে অতি কস্টের মধ্যদিয়ে বেড়ে উঠেছেন। ভোলানাথ প্রতিবন্ধী হলে মনের সাহস ও উৎসাহ হারাননি। তার ২পা’প্রতিবন্ধী হলেও সে শিক্ষা অর্জনে তার অনেক আগ্রহ থাকায় রোদ-বৃস্টি উপেক্ষা করেও অতিকস্টের মধ্যদিয়ে বাড়ির কাছ থেকে অনেক দূরে বিদ্যালয় হলেও শিশুকাল থেকে বিদ্যা অর্জন করে মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেন।
কথায় আছে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। তাই ভোলানাথের অধির আগ্রহ থাকায় ও ইচছা ছিল বলে সে ভালমানের রেজাল্ট নিয়ে ধীরে ধীরে বছরের পর বছর পার করে ভোলানার্থ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে এইচএসসি পাস করেছেন।
ভোলানাথ প্রতিবন্ধী হলে কি হবে, সে বসে থেকে জীবন কাটাটে একেভারে নারাজ। শিক্ষা অর্জন করে এখন চাকরীর পিছনে নাঘুরে পিতার রেখে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মতলব উপজেলা পরিষদের সড়কের পাশে নির্মিত পিতার নামে গড়ে তোলা বিমল মিস্টান্ন ভান্ডার নামে একটি মিস্টির দোকান পরিচালনা করে যাচ্ছেন। ভোলানার্থ এখন মিস্টি ব্যবসায়ী হিসেবে তার পরিচিতি গড়ে উঠেছে। সে প্রতিবন্ধী হলেও বর্তমান আধুনিকার ছোয়ায় নির্মিত হাতের মাধ্যমে, ব্যাটারি চালিত হুইল চেয়ার ও বিভিন্ন যন্ত্রচালিত গাড়ী তিনি ব্যবহার করতে আগ্রহী হননা। ভোলানাথ এমনিতে নিজের চেস্টায় মাটিতে হামাগড়ির মত হেটে হেটে চলতে অনেক আনন্দ পান। তাই তিনি নিজের ইচছা মত মাটিতে হেটে হেটে জীবন পরিচালনা করে যাচেছন বলে জানান। ভোলানার্থ প্রতিবন্ধী হয়েও সতিকার অর্থে একজন সাহসী, মেধাবী ও কর্মজীবির মানুষ হিসেবে এ সমাজে পরিচয় দিয়ে যাচেছন। তার এ পথচলায় তাকে জীবনে বেচে থাকার জন্য তাকে সবাই অনুপ্রেরনা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে অনেকেই এ প্রতিবেদকের কাছে মতপ্রকাশ করেন। প্রতিবেদক চাঁদপুরের সিনিয়ার সাংবাদিকও ফোকাস মোহনার উপদেষ্টা মোহাম্মদ শওকত আলী।