রোববার দুপরে হাজীগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি দোকানে উপছেপড়া ভীড় থাকলেও কোন কোন দোকান একেবারই ক্রেতা শুণ্য।
গরীবের মার্কেটখ্যাত হাজীগঞ্জ হকার্স মার্কেটে আগের মতো কোন ক্রেতা নেই। তবে হকার্স মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক সোহেল জানান, প্রতিদিন ১০টা থেকে ১২/১টা পর্যন্ত মোটা-মুটি ক্রেতা থাকে। তিনি জানান, আগামী দিন থেকে ক্রেতা আরো বাড়বে।
এছাড়াও হাজীগঞ্জের নব-নির্মিত বিজনেসপার্ক ট্রেড সেন্টারেও দেখা গেছে ক্রেতা সাধারণদের আনাগোনা। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ক্রেতা থাকলেও বেচাকেনা এখনো বাড়েনি। তবে সহসাই বেচাকোনা বাড়তে পারে বলে জানান তারা।
শপিংমল খোলার পাশাপাশি ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ পোশাকের দোকানও চালু হয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, মার্কেট খুললেও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। ফলে ক্রেতার মার্কেটে আসতে পারছেনা। যানবাহন চলাচল শুরু হলে ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
হাজীগঞ্জ বিজনেসপার্ক ট্রেড সেন্টারের নবাব গার্মেেন্টের স্বত্ত্বাধীকারী মো. রিয়াদ বলি জানান, রোজার মাসের পূর্বে কোটি টাকার মালামাল ক্রয় করেছি শুধু পহেলা বৈশাখ ও রমজানের জন্য। পহেলা বৈশাখেতো দোকান বন্ধ ছিল। রমজানের ঈদকে সামনে রেখে ১১ দিন বন্ধ থাকার পর দোকান খুলেছি। তিনি জানান, সকালে দোকান খুললেও দুপুর পর্যন্ত বেশী বেচা কেনা নেই। সামনে ঈদ, সরকার সুযোগ দেয়ায় দোকান খুলেছেন। কিন্তু কতটা কী হবে বুঝতে পারছেন না।
হাজীগঞ্জ রয়েল মার্কেটের জোনাকীর স্বত্ত্বাধীকারী রোটা. প্রাণ কৃষ্ণ সাহা মনা জানান, পহেলা বৈশাখী ও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইন্ডিয়া থেকে মার্কেট করেছি। কিন্তু আশানুরুপ বেচা কেনা নেই। যদি গণ পরিবহন চালু হয় তাহলে বেচা কেনা বাড়তে পারে।