বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৬৯তম জন্মদিন আজ। বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে গুলশানের নিজ বাড়িতে পারিবারিকভাবে কেক কাটার মধ্য দিয়ে জন্মদিনের কর্মসূচি শুরু হয়। আজ সকাল ১১টায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো কেক কেটে নেত্রীর জন্মদিন পালন করবে। আর রাত ৮টায় গুলশান কার্যালয়ে কেক কাটবেন খালেদা জিয়া। পরে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন। প্রতি বছরের মতো কলাম ৩
এবারো বেশ জাঁকজমকভাবে দলীয় প্রধানের জন্মদিন পালন করবে বিএনপি। এ উপলক্ষে দলের সহযোগী সংগঠনগুলো নানা রকম কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে দলীয় নেত্রীর জন্মদিন সুশৃঙ্খলভাবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছে দলটি। কেন্দ্রীয় নেতাদের সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতেও বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালের এই দিনে জলপাইগুঁড়িতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন খালেদা জিয়া। তার পিতা এস্কান্দার মজুমদার ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার মজুমদার পরিবারের সন্তান। চা বাগানে চাকরির সূত্র ধরে তিনি প্রথমে জলপাইগুঁড়ি এবং পরে দিনাজপুর শহরে স্থায়ী হন। খালেদা জিয়ার শৈশব কেটেছে দিনাজপুরে। ১৯৬০ সালে তিনি সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশি-বিদেশি চক্রান্তে বিপথগামী সৈন্যদের হাতে নিহত হলে ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। পরে দলের চেয়ারপারসন মনোনীত হন। দীর্ঘ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তিনি রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দেন। ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর ষষ্ঠ ও অষ্টম সংসদেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে ওয়ান/ইলেভেনের পর তদারকি সরকার তাকে কারাবন্দি করে। তার অনড় মনোভাবের কারণে মাইনাস টু ফর্মুলা থেকে সরে এসে তারা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে তার নেতৃত্বে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর আন্দোলন করে চলেছে বিএনপি।
শিরোনাম:
বুধবার , ২৬ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১২ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।