দেশে জ্বালানি সংকট ও তীব্র লোডশেডিংয়ের মধ্যে চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি কমিয়েছে বৃষ্টি। দুই সপ্তাহের মধ্যে গত তিন দিন বিদ্যুতের লোডশেডিং কমেছে। এ মাসে নতুন করে তাপপ্রবাহ হওয়ার পূর্বাভাসও নেই। এমন অবস্থায় লোডশেডিং সহনীয় রাখা যাবে বলে আশাবাদী সরকারের সংশ্লিষ্টরা।
তবে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২৪ মে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করার পর গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টায় বন্ধ হয়ে গেছে। ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ইউনিটটি কয়লা সংকটে বন্ধ করা হয়। এদিকে পায়রা এবং অন্য কয়েকটি কেন্দ্র বন্ধ হলেও ভারতের আদানি থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বাড়িয়েছে সরকার। গত ৯ মার্চ থেকে ঝাড়খন্ডে অবস্থিত আদানির ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ আসে জাতীয় গ্রিডে। এ দিন প্রথম ইউনিট থেকে ৪৪৩ মেগাওয়াট এবং দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৪০ মেগাওয়াট মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৮৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হয়। গত শুক্রবার সকালে দ্বিতীয় ইউনিটে সর্বোচ্চ লোডে ৭৫৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টায় আদানির দুইটি ইউনিট থেকে ১ হাজার ৭২ মেগাওয়াট এবং শুক্রবার রাত ১২টায় ১ হাজার ৫৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। বৃহস্পতিবারের আগে কেন্দ্রটি থেকে ৭০০-৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসত।
বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে এস এস পাওয়ারের পক্ষে এক কর্মকর্তা জানান, মূলত পিডিবির অনুরোধে বাঁশখালীর কেন্দ্রটিতে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু এবং বাড়ানো হয়। কেন্দ্রটির জ্বালানি কয়লা শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। চীন থেকে কয়লার চালান আসছে। এক সপ্তাহ পর কেন্দ্রটি আবার চালু হতে পারে। চলতি মাসেই প্রথম ইউনিটটি পূর্ণ সক্ষমতায় চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।