একান্ত আলাপচারিতায় চাঁদপুর প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল
ইলিশ রক্ষায় চাঁদপুরে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার ঃ আইসিটিতে দেশসেরা চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডলের সাথে গতকাল বুধবার দুপুর তার কার্যালয়ে প্রায় দীর্ঘক্ষণ পৌনে এক ঘন্টা ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুর এর বর্তমান অবস্থা ,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে নাগরিক সেবার স্বীকৃতি প্রাপ্তি ও চাঁদপুরের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে একান্ত আলাপচারিতায় হয় দৈনিক চাঁদপুর খবর সম্পাদক ও প্রকাশক সোহেল রুশদী সাথে । সদালাপি জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল এ সময় খুবই খোলামেলা আলাপ আলোচনা করেন । তিনি বলেন, চাঁদপুরের ইলিশ ইতিমধ্যে দেশ ও বিদেশে ব্র্যান্ডিং হয়ে গেছে । সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে । এখন চাঁদপুরবাসীর দায়িত্ব ইলিশকে রক্ষা করা । জাটকা ইলিশ ও মা ইলিশ যাতে অন্য উপকূলীয় নদী এলাকায় ধরতে না পারে সেজন্যও চাঁদপুরের জনসাধারণকে আন্দোলন করতে হবে । মোট কথা ইলিশ রক্ষায় সামাজিক আন্দোলনে রুপ নিতে হবে । ইলিশ না থাকলে ব্র্যান্ডিং থাকবে না । তাই চাঁদপুরের অস্তিত্বের প্রশ্ন জড়িত । তিনি বলেন,ঢাকায় ইলিশ মেলা ছিলো একটা বড় অর্জন । কিছুটা চ্যালেজিং হলেও সেটাতে আমরা চাঁদপুরবাসীর সহযোগিতায় সফল হয়েছি । সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পেরেছি । তিনি বলেন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুক নাগরিক সেবা চাঁদপুর জেলা প্রশাসনকে স্বীকৃতি দিয়েছে । এটাও একটা অর্জন । সবশেষ ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমিতে ব্র্যান্ডিংয়ে চাঁদপুরকে তুলে ধরা হয়েছে । সেখানেও চাঁদপুর জেলা প্রশাসককে ক্রেষ্ট দেওয়া হয়েছে । সারাদেশের মধ্যে ব্র্যান্ডিং এখনোও চাঁদপুর অগ্রগামি । চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ব্র্যান্ডিংয়ের প্রতিটি কাজে টীমওয়ার্ক নিয়ে কাজ করি । এখানে চাঁদপুরবাসীর আকুণ্ঠ সমর্থন পাচ্ছি । তিনি বলেন,ব্র্যান্ডিংকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরে অনেক উন্নয়ন কাজ হচ্ছে এবং অনেক উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগুচ্ছি । চাঁদপুরের প্রতিটি উন্নয়ন কাজই ব্র্যান্ডিংয়ের অংশ মনে করে করছি । এরই মধ্যে চাঁদপুর সার্কিট হাউজ,বড়স্টেশন মোলহেড,জেলা প্রশাসক কার্যালয় সামনে,পুলিশ লাইন,বিটাকসহ সরকারি -বেসরকারি বিভিন্ন স্থানে দৃষ্টি নন্দন করা হচ্ছে । চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ইলিশ চত্তরকে অচিরেই চাঁদপুর পৌসভার সহযোগিতায় আধুনিক সাজে সজ্জিত করা হবে । ইলিশের বাড়ী চাঁদপুরকে স্বাগতম জানিয়ে অত্যাধুনিক লাইটিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । অর্থাৎ ব্র্যান্ডিংকে সামনে রেখে চাঁদপুরকে আধুনিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । চাঁদপুর পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে । এর সুফল পাবে চাঁদপুরের মানুষ । এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,বিভিন্ন কাজে আলোচনা- সমালোচনা থাকবে । এটা নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই । আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে । প্রতিটি কাজেই মানুষের সমর্থন পাচ্ছি ।