স্টাফ রির্পোটার : চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়া হলো না দুই শিক্ষার্থীর। প্রতারকের খপ্পরে পড়ে পরীক্ষা বঞ্চিত দু’শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা-এমন অভিযোগ শিক্ষার্থী পরিবারের।
জানা যায়, এইচএসসি পরীক্ষা-২০১৮ সালের নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার কথা ছিলো মেহার ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগের হালিমা আক্তারের। একই সাথে পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিলো একই কলেজের ব্যবসা বিভাগের নেহা সাহা প্রিয়ার। ভাগ্যের নিমর্ম পরিহাস প্রতারক কর্তৃক ফরম পূরণের টাকা আত্মসাৎ হওয়ায় পরীক্ষা দেয়া হলো না তাদের।
এ ব্যাপারে পরীক্ষার্থী হালিমা আক্তারের বাবা আবুল হাশেম বলেন, পৌর ৬নং ওয়ার্ডের শ্রীপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ রুহুল আমিন ওরফে লিলু মিয়ার পুত্র সৈয়দ জিলান মিয়া আমার কন্যার ফরম পূরনের দায়িত্ব গ্রহন করেন। তার বিনিময়ে আমার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা গ্রহণ করেন এবং তিনি জানান, আপনাদের কলেজে যেতে হবে না, আমিই প্রবেশপত্র পৌঁছে দিবো। আর প্রবেশপত্র আসেনি এবং আমার কন্যার পরীক্ষাও দেয়া হয়নি। অপর পরীক্ষার্থী নেহা সাহা প্রিয়ার মা শিলা সাহা বলেন, আমার স্বামী ঠাকুর বাজারের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। যার সামান্য আয়ে আমাদের সংসার চলে। তার উপর সন্তানদের লেখাপড়া। সাংসারিক এমন অচলাবস্থাতেও সৈয়দ জিলান মিয়াকে ১১ হাজার টাকা দেই। তিনি আমার মেয়ের ফরম পূরণ না করিয়ে পুরো টাকাটাই আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে ৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে শাহ্রাস্তি স্কুলের সামনে সৈয়দ জিলান মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ১০ এপ্রিল টাকাটা ফেরৎ দিবেন বলে জানান।
পরীক্ষা বঞ্চিত নেহা সাহা প্রিয়া বলেন, জিলান মিয়া কে ? আমি তাকে চিনি না। তার ছেলে আনিল আমার ক্লাসমেট। সে আমাকে জানায়, আমার বাবা তোমার ফরম পূরণ করে দিতে পারবেন। তখন আমি আনিল সহ অন্যান্য সহপাঠীদের নিয়ে জিলান মিয়ার কাছে যাই এবং শাহরাস্তি স্কুলের সামনে ১১ হাজার টাকা দেই। কিন্তু তিনি আমার ফরম পূরণ করান নি। আমি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। সৈয়দ জিলান মিয়া এহেন কর্মের জন্য সুষ্ঠু ও সঠিক বিচারের লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
ঠাকুর বাজারের ব্যবসায়ী মিহির সাহা বলেন, জিলান মিয়ার সাথে আমার কথা হয়েছে। যিনি যথাসময়ে প্রিয়া পরিবারকে টাকাটা ফেরৎ দিবেন অথচ তা তিনি আজও দেননি। যা প্রতারণের শামিল।
এ ব্যাপারে সৈয়দ জিলান মিয়া বলেন, পরীক্ষার্থী দু’জনের অভিভাবক তাদের ফরম পূরনের জন্য টাকা দিয়েছিল। সংঙ্গত কারণে আমি ফরম পূরণ করাতে পারিনি। যে কারণে আমি তাদের টাকা ফেরত দিয়ে দিবো।
এলাকাবাসী বলেন, জিলান মিয়ার এমন স্বভাব যা আশেপাশের সবাই জানেন। অথচ তারা তার মাধ্যমেই প্রতারিত হচ্ছেন। অনেক অপকর্ম, প্রতারনা, অর্থ কেলেংকারী থাকা স্বত্ত্বেও তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। যা দেখার যেন কেউ নেই!! প্রশাসনের নজরদারীতায় এমন প্রতারকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তারা।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ১৯ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।