প্রশাসনের দৃষ্টিকামনা
পালিয়ে যাওয়ার আগে গ্রেফতারের দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা॥
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা হরিপুর গ্রামে ৩ কিশোরের পাওয়া গুপ্তধন (কষ্টিপাথর) নিয়ে টানবাহাল নাটকের শেষ কোথায়?
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ওই গ্রামের মোঃ শওকত হোসেন (১৬), পিতা- মালু মিয়া, মোঃ তুষার(১৪), পিতা- শহিদ মিয়া, মোঃ মহিউদ্দিন শুভ (১৪), পিতা- মৃত মানিক মিয়া এই ৩ কিশোর পাশের গ্রাম মাঝিগাছা শীল বাড়ীতে রমেষ চন্দ্র শীলের প্রায় ১৫০ বছর পরিত্যক্ত বাড়ীতে ছোট ছোট আম পারতে যায়। আম পাড়া শেষ প্রান্তে বাগানের ভিতরে লুকোচুরী খেলতে গিয়ে একটি কালা পাথর দেখতে পায়। শওকত একটু বয়সে বড় হওয়ার ফলে এই পাথরটিকে বাড়ীতে নিয়ে আসবে বলে ৩জন একমত পোষন করেন। আমসহ এইপাথরটি সন্ধ্যালগ্নে বাড়ীতে নিয়ে আসে। এরই মধ্যে জানাজানি হয়, ৩ কিশোর কালা পাথর (কষ্টিপাথর) পেয়েছে।
এই ঘটনা জেনে একই বাড়ীর আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ কামরুল হোসেন অভিনব কৌশলে র্যাব ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে ৩ কিশোরকে সহ তার বড় ভাই কাস্টমস অফিসার আঃ লতিফের বাসায় নিয়ে যায়।
ঢাকায় নাটক সাজিয়ে ৩ কিশোরকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। কয়েকদিন পরে কামরুল বাড়ীতে এসে রাতের অন্ধকারে ৩ কিশোরকে নিয়ে এটি কষ্টিপাথর না এবং এটা ভুয়া পাথর বলে তিনি জানান।
এদিকে কামরুলের কথায় কিছুটি রহস্যজনক মনে হলে ৩ কিশোর ও তাদের পিতা মাতা পাথরটি দেখতে চায়। এদিকে কামরুল আজ দেখাবে কাল দেখাবে বলে নানান অজুহাতে প্রায় ১ (এক) মাস পার করে দেয়।
এতে করে পুরো এলাকায় গুপ্তধন (কষ্টিপাথর) পাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
পুরো গ্রাম মিলে কামরুলকে চাপসৃষ্টি করলে তিনি ঢাকা থেকে একটি কষ্টি পাথরএনে দেখান। পরে কষ্টিপাথর পাওয়া কিশোররা এই পাথর না বলে দাবি করলে কামরুল অভিনব কৌশলে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, কামরুল মুল কষ্টিপাথর বিক্রি করে প্রশাসনের দায়বদ্ধ থেকে সাড়ার জন্য নিজেকে অসুস্থ্যতার ভান করে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যেকোন মুহুর্তে কামরুল দেশ থেকে পালিয়ে যেতে পারেন। কামরুল পালিয়ে যাওয়ার আগে তাকে গ্রেফতার করলে কষ্টিপাথর বিক্রির মুল রহস্য বেড়িয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন ৩ কিশোর ও এলাকার সচেতন নাগরিক। চলবে………………………