মোঃ ইউনুছ ॥
কচুয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মফিজুল ইসলামের কিশোরী কন্যা সানজিদা আক্তার শারমিন (১৪) কে সামাজিক সংগঠন লিডো’র সহায়তায় তাঁর পিতামাতা’র নিকট হস্তান্তর করা হয়। এতে শারমিনের পিতা-মাতা খুশিতে আত্মহারা।
শারমিন প্রায় ৭ মাস পূর্বে তার পিতামাতার সাথে অভিমান করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার ক’দিন পর শারমিন ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় ইতস্ত-বিক্ষিপ্ত ভাবে ঘুর ঘুর করা কালীন অসাবধনতা বশত রেলগাড়ীর নিচে পড়ে যায়। এতে রেলের চাকায় শারমিনের ডান পায়ের কিছু অংশ কেটে যায়। সে রেল লাইনের উপর মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকে। এ অবস্থায় খবর পেয়ে লিডো’র (লোকাল এডুকেশন এন্ড ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন) রেসকিও টিমের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে শারমিনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এনে ভর্তি করায়। এ দুর্ঘটনায় শারমিন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। ঢাকা মেডিকেলে কিছুদিন চিকিৎসা নেয়ার পর শারমিন কে লিডো’র মোহাম্মদপুরের শান্তিঘরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এখানে চিকিৎসা করানো সহ তার সার্বিক সেবাযতœ করা হয়। সম্প্রতি শারমিন অনেকটা সুস্থ হয় ও মানসিক ভারসাম্য ফিরে পেয়ে লিডো’র কর্মকর্তাদের নিকট শারমিন তার জন্মস্থান সহ পিতামাতার নাম বলে। লিডো’র কর্মকর্তারা শারমিনের দেয়া তথ্য মোতাবেক তার পরিচয় খুজে বের করে।
গতকাল মঙ্গলবার (৪আগষ্ট) লিডো’র নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেন ও আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আলী জনী শারমিন কে তার গোবিন্দপুরের বাড়ি গিয়ে পিতামাতার নিকট হস্তান্তর করে। শারমিনের পরিচয় খুজে বের করতে ও তার পিতামাতার নিকট তাকে হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় সার্বিক সহযোগিতা করেন-কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইবরাহিম খলিল, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন ও কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল হোসেন।
শিরোনাম:
শনিবার , ১৭ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।