প্রতিনিধি
কচুয়ায় বিয়ে পাগল যুবক আব্দুল আালিম (২৬) এক পরকীয়া প্রেমিকাসহ জনতার হাতে আটক হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার চান্দিয়া পাড়া গ্রাম থেকে তাদের সন্দেহভাজন অবস্থায় আটক করে জনতা রহিমানগর বাজারস্থ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের অধিবাসী কোরবান আলীর ছেলে মোঃ আব্দুল আলিম ইতিপূর্বে দুটি বিয়ে করে। বিয়ের পর আঃ আলিম বিভিন্ন কারণে দু’ স্ত্রীকে বিদায় করে দেয়। তারপর একই উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের সদ্য বিবাহিতা কন্যাকে মোবাইল ফোনে ফুসলিয়ে প্রেমের জালে বন্দী করে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গত ২৯ আগস্ট শুক্রবার বিয়ে পাগল আব্দুল আলিম মেয়েটিকে বিয়ে করার কথা বলে তার নানার বাড়ি চান্দিয়া পাড়ায় নিয়ে যায়। তাদের চলাফেরা অস্বাভাবিক দেখে স্থানীয় লোকজন আব্দুল আলিমকে জিজ্ঞাসা করলে মেয়েটি তার স্ত্রী বলে দাবি করে। এ সময় মেয়েটির এক আত্মীয় আব্দুল আলিমের সাথে বিয়ে হয়নি বলে জানালে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে গোহট (দঃ) ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেনের কার্যালয়ে নিয়ে আসে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, বখাটে আঃ আলিম হোটেলে বয়ের কাজ করার সুবাদে এলাকার বিভিন্ন মেয়েদের ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে তাদের বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে। যার ফলে তার দু’ স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। আব্দুল আলিমের পরকীয়া প্রেমিকা পার্শ্ববর্তী পাড়াগাঁও গ্রামের আলী আশরাফের ছেলে সুজনের সাথে মাস ছয়েক পূর্বে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সম্প্রতি ওই গৃহবধূ তার বাপের বাড়ি দৌলতপুর গ্রামে বেড়াতে আসলে আঃ আলিম তাকে নিয়ে পাড়ি জমায়। আব্দুল আলিমকে তার পরকীয়া প্রেমিকাসহ আটকের ঘটনায় গত শনিবার সন্ধ্যায় রহিমানগর বাজারে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেনের সভাপতিত্বে সালিস বসে।