মো: ইউনুছ মিয়া ॥
কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখন বিষধর সাপের নিবাস। গত এক পক্ষ কালের মধ্যে ১১টি ছোট বড় নানা প্রজাতির পানক সাপ মারা হয়েছে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। রাতে খুবই ভয়াতঙ্কে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার ও কর্মচারীরা বাসায় আসা যাওয়া করে থাকেন। কেবল রাতেই নয় দিন দুপুরেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় সাপের ভয় আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে লোকজনদেরকে। দিনের বেলায়ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অলিগলিতে সাপ বিচরণ করতে দেখা গেছে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে তাদের পিতা-মাতার ভাবনা চিন্তার অন্ত থাকে না। কারণ, তারা অলিগলি পথে ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্ত্বর এলাকায় খেলাধুলা করতে গিয়ে যথেচ্ছাভাবে দৌড়াদড়ি ও ছুটাছুটি করে থাকে। এ সময়ে বিষাক্ত সাপের ছোবলে ওই ছেলেমেয়েরা আক্রান্ত হয় কিনা এ নিয়ে পিতামাতাকে দারুন উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় থাকতে হয়। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কোয়াটারগুলোর দীর্ঘদিন থেকে জরাজীন্ন অবস্থা। ওয়াল ও প্লোরে ফাটল। এছাড়া ডাক্তারদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পশ্চিম কর্ণারের ডাক্তারদের ভবন ও পুরানো দিনের। এ ভবনটিরও জরাজীন্ন অবস্থা। এ ভবনের আশপাশে কয়েকটি সাপের গর্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উত্তর পশ্চিম অংশে মেডিকেল অফিসারদের বাস ভবন এলাকায় সাপের উপদ্রব সবচেয়ে বেশি। এ বাস ভবন এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি সাপ বেরিয়ে আসছে ও মারা হয়েছে। কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার বিজয় কৃষ্ণ সাহা সাপের উপদ্রবের কথা স্বীকার করে বলেন- আমরা এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ও কর্মচারীরা সাপের ভয়ে আতঙ্কে আছি। সাপ নিধনে দক্ষ ও অভিজ্ঞ সাপুড়িয়া খুঁজা হচ্ছে।
শিরোনাম:
বুধবার , ৯ জুলাই, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।