শওকত আলী:
একটি কদম ফুলের জন্য ফরহাদ হোসেন নামে শিশুটি এখন মৃত্যু প্রহর গুনছে। একটি ফুলকে বাচাঁবো বলে যেমন এদেশের মৃক্তি যোদ্বারা জীবন দিয়ে ছিল। তেমনি ফুলকে না বাচাঁলেও ফুলকে ভাল বেসে একটি কদম ফুল দেখে মনের আনন্দে ফুলটিকে পারতে গিয়ে পা” ফসকে পড়ে যায় শিশু ফরহাদ। আর এরই আঘাত প্রাপ্ত হয়ে জীবন সংকটা পন্ন হয়ে দীর্ঘ ২২দিন যাবত চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচেছ।
উন্নত চিকিৎসা পেলে ফরহাদ রুত সেরে উঠা সম্বব হতো। কোন হৃদয়বান ও বৃত্তবান তার পাশে এস দাড়ালে এ শিশুটির জীবন সুন্দন রুপ পেয়ে জীবনটা সুখময় হহে পারে। এ বিষয়টি নিয়ে একটু চিন্তা করুন দানবীর- হৃদয়বান ভাইরা। তা হলে সমাজে গরীবের বন্ধ হতে পারবেন।
আর গরীব অসহায়রা বাচাঁর অবল্বন পাবে।
একটি মাত্র কদম ফুলের জন্য গাছ থেকে পড়ে ফরহাদ হোসেন নামে ৯ বছর বয়সী শিশু গুরুতর আহত হয়ে ২২দিন ধরে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে দিন পার করছেন। আর এ শোয়া ডানদিক কিংবা বামদিক কাৎ হয়ে শুয়ে থাকা নয়, শুধুমাত্র চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা। কারন তার কোমর, ডান হাত, এবং বাম পায়ের রানের হাড় ভেঙ্গে গেছে। এজন্য চিকিৎসক তার চিকিৎসার জন্য পায়ের গোড়ালি থেকে বাম পা এবং কোমড়সহ ডান হাতের শিনা পর্যন্ত পেলাস্টার করে রেখেছেন। নিজের ইচ্ছেমত মন চাইলেই ডানদিক কিংবা বামদিক কাৎ হয়ে শুতে পারছেন না ফরহাদ।
ফরহাদের পিতা ফারুক মোল্লা জানান, চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের পাঁচ বাড়িয়া গ্রামে তাদের বাড়ি। ফরহাদ বিগত ২২ দিন আগে সকাল বেলা তাদের গ্রামের একটি কদম গাছে উঠেন কদম ফুল পারার জন্য। গাছে উঠার পর শিশু ফরহাদ পা ফসকে নিছে পড়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন ফরহাদের হাত, পা এবং কোমরের হাড় ভেঙ্গে গেছে। এজন্য চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষনিক তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। কিন্তু পরিবারের আর্থিক স্বচ্চলতার না থাকার কারনে তাকে ঢাকায় নেয়ার সামর্থ না থাকায় তারা চিকিৎসককে অনুরোধ করলে চাঁদপুরেই তার চিকিৎসাসেবা চলতে থাকে। তিনি আরো জানান, বিগত ২২ দিন ধরে সে একই ভাবে শুয়ে আছে। চিকিৎসকের পরামর্শ তার হাড় জোড়া লাগাতে হলো এভাবে আরো একমাস যাবৎ থাকতে হবে। আহত শিশু ফরহাদ মধুরোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে বলে তার পিতা জানান।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের অর্থ- সার্জারী সহকারী রেজিষ্ট্রার ডা. ফরিদ আহমেদ চৌধূরীর বলেন, তার পায়ের সমস্যার জন্য হয়তো আরো দু’ তিন সপ্তাহ এভাবে থাকতে হবে। তবে হাতের সমস্যাটা বেশি হওয়ায় সেটির জোড়া লাগতে হলে একটু বেশি সময় লাগবে।