চাঁদপুর হরিনা বিআইডাব্লিউটিসির ইক-১ ভাসমান কারখানা ও মূখার্জী ঘাটের পুলিশ সুপারের দ্বিতল দুর্বার জাহাজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশে টেন্ডারের লুকোচুরির মাধ্যমে বাহ্মণবাড়িয়া ঠিকাদার কবিরের নিকট পানির দরে বিক্রি করা হয়েছে। গত শনিবার থেকে ঠিকাদার কবির দ্রুত গতিতে ভাসমান কারখানা ও দ্বিতল জাহাজটি কেটে নিয়ে যাচ্ছিল।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিআইডাব্লিউটিসি’র কোটি টাকার ইক-১ ভাসমান কারখানা অকেজ অবস্থায় পানির নিচে ডুবে যায়। সরকার ভাসমান কারখানাটি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রির জন্য বিআইডাব্লিউটিসি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। বিআইডাব্লিউটি সি এম পি এম এ মান্নান ঠিকাদারের মোটা অংকের অর্থের বিনিময় টেন্ডার লুকোচুরি করে কাউকে না জানিয়ে ঠিকাদার কবিরের কাছে মাত্র ৫ লাখ ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে। কবির গোপনে কাগজপত্র প্রসেসিং করে চাঁদপুরে এসে দ্রুত তা কেটে নেয়ার জন্য কাজ শুরু করে। এ ব্যাপারে সিএমপি মান্নানের মোবাইল নাম্বার ০১৭১৫৫৮৩৭০৬ ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সর্ম্পনরূপে অস্বীকার করে এবং বলেন, হরিনায় তাদের কোন ভাসমান কারখানা নেই ও কোন টেন্ডারও হয়নি। আর কিছু জবাব না দিয়ে সে মোবাইলের সংযোগ কেটে দেয়। এব্যাপারে বিআইডাব্লিউটিসি’র ডিজিএম নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইরে তিনি বলেন, টেন্ডারের বিষয়ে কোন তিনি অবগত নয়। মান্নান সকল ধরনের টেন্ডারের প্রক্রিয়া করেন তিনি সব জানেন। ঠিকাদার কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিআইডাব্লিউটিসি’র কর্মকর্তারা তাকে জোরপূর্বক ভাসমান কারখানাটি গছিয়ে দিয়েছে। টেন্ডারে তিনি ছাড়া আর কেউ সিডিউল ড্রপ করেনি। গত সপ্তাহে মেরিন ডিজিএম নজরুল ইসলাম বাণিজ্যে (মেরিন) আজমল, ম্যানেজার (মেরিন) সোবাহান, ভাসমান ডগটি বুঝিয়ে দেয়। পুলিশ সুপারের দ্বিতল জাহাজটি ঢাকা আইজি অফিস থেকে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে কবির ক্রয় করেছে। একটি সূত্র জানায়, বাহ্মণবাড়িয়ার ঠিকাদার কবির ঢাকায় ব্যবসায় করার সুবাধে সরকারি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের জোগসাজসে পুরানো মালামাল পানির ধরে ক্রয় করে। চাঁদপুরে এই বিআইডাব্লিউটিসির ভাসমান কারখানা ও পুলিশ সুপারের দ্বিতল জাহাজটি বর্তমান মূল্য প্রায় কোটি টাকার উপরে। ঠিকাদার কবির পানির দামে ক্রয় করায় সরকার বিপুর অর্থের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
শিরোনাম:
শনিবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।