হাসানুজ্জামান :
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে কিশোরী শাহনাজ গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার রহস্য ধিরে ধিরে উন্মচন হতে শুরু করেছে। পূর্বতথ্যে, উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের কুলশী হাজীবাড়ীর জাহাঙ্গীর আলমের বড় কন্যা ও স্থানীয় ওয়ারুক রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী গত ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ির পরিত্যক্ত একটি ঘরে আত্মহত্যা করে শাহনাজ আক্তার (১৫)। খবর পেয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার এসআই আবু জাফর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশের সুরত হাল শেষে ময়না তদন্তে মর্গে প্রেরণ করে। শাহনাজের এমন মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা গুনজন থাকলেও গতকাল মঙ্গলবার পুরো রহস্য বের হয়ে আসে। শাহনাজের মা পারভীন আক্তার জানান, পার্শ্ববর্তী আজাগরা হাজী বাড়ীর রমিজউদ্দিনের পুত্র রফিকুল ইসলামই শাহনাজের আত্মহত্যার কারন। এ ব্যাপারে তিনি আরও বিস্তারিত বলেন, রফিক আমার মেয়ের সাথে সন্দেহজনক চলাফেরা চোখে পড়লে তাকে নিষেধ করি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার অবুজ কন্যার সাথে আরো মিশতে থাকে। যাতে আমার শাহনাজের চুড়ান্ত সর্বনাশ ঘটে। মায়ের সূত্রে শাহনাজের বক্তব্য, রফিক ভাই আমার সব কেড়ে নিয়েছে। একটি নারীর যে অলংকার তার অহংকার টাই সে খসে দিয়েছে। এখন রফিক ভাইকে আমার বিয়ে ছাড়া কোন উপায় নেই – অন্যথায় আমাকে আত্মহত্যা করতে হবে। মেয়ের এমন বক্তব্য মাকে পাগল বানিয়ে ছাড়ে। ঢাকায় সামান্য চাকুরীরত স্বামী জাহাঙ্গীরকে মোবাইলে জানালে জাহাঙ্গীর জানান, আমি বাড়ী আসলে ১০জন নিয়ে বসে পুরো ঘটনা জানাবো। স্ত্রীর এমন জানানো ঘটনায় স্বামী জাহাঙ্গীর বিমর্ষ হয়ে পড়ে। স্ত্রীর ফোনের ৫ দিনের মাথায় শাহনাজের মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই বাড়ি ফিরে সে। আপন চাচাতো বোন শিরিন এ ব্যাপারে জানায়, চাচাতো বোন হিসেবে শাহনাজ রফিকের ব্যাপারে বললে শাহনাজ জানায় আপু রফিকতো আমাকে চুষে খেয়েছে, এখনতো আর ফিরার পথ নেই। মৃত্যুর দিন দুপুরে শাহনাজ রফিককে ফোন করে বিয়ের ব্যাপারে জানাতে চাইলে রফিক তার দাবী প্রত্যাখ্যান করে। যে কারনে ওই দিন সন্ধ্যায় শাহনাজ আত্মহত্যা করে। এ বিষয়ে ওই এলাকার আবুল কালাম আজাদ, প্রফেসর নুরুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. গোলাম মোস্তফা, শাহ কামাল, আহম্মদ হোসেন বেপারী, নুরের রহমান, আবদুল আলী, মীর হোসেন ও মহসীন সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানান। সরেজমিনে দেখা যায়, ওই এলাকায় এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদের দানা বেঁধে উঠছে। জানা যায়, লম্পট রফিক বর্তমানে পলাতক রয়েছে। সে ৩ কন্যা সন্তানের জনক। তার স্ত্রী নারগিশ আক্তার তথ্য জানতে গেলে সংবাদকর্মীদের সাথে খারাপ আচরন করে। এ বিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানা নিহতের পিতা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।