শওকত আলী ঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নের কেতুয়ায় মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম ঢালীর ফসলী জমিতে সুরুজ খাঁন ও রোকন খাঁনের নেতৃত্বে ৭০/৮০ জনের ১টি সংঘবদ্ধ দল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে,ফসলী জমির আলু লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম সহ তার পরিবারের লোকজন চিকিৎসা নিতে ও মামলা করতে বাড়ি থেকে বের হতে পারছিল না সন্ত্রাসীদের ভয়ে। ২দিন পর সু-কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ঢালীর বোন মমতাজ বেগমের মাধ্যমে ৮ জন কে আসামী করে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় ১টি মামলা দায়ের করেছে। যার নং-১৩,তারিখ ০১/০২/২০১৬ইং। মামলার বিবাদীরা হচ্ছে ঃ সুরুজ খাঁন,রোকন খাঁন,ড্যান্সার রুপু,মোঃ ফরহাদ হোসেন হাজী,মোঃ কবির হোসেন খাঁন,সাইফুল ইসলাম বেপারী,জাকির হোসেন বেপারী ও মোঃ তাজুল ইসলাম। এছাড়া আরও অজ্ঞাতনামা ৭০/৮০ জন রয়েছে। মামলা করার পর থেকে সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন হুমকি,ধমকির ভয়ে পরিবারের লোকজন বাড়ীতে আতংকো অবস্থায় থাকতে হচ্ছে । গত ৩০ জানুয়ারী সকাল প্রায় ১০টায় কেতুয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধার আলু খেতে এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীদের হামলায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ঐ সময় ৫ জন গুরুত্বর আহত হয়। আহতরা হচ্ছে ঃ নুরুল ইসলাম ঢালী,কামাল ঢালী,মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী, সোমা বেগম,আয়শা বেগম,মজিবুর রহমান।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,গত ৩০ জানুয়ারী সকাল অনুমান ১০টায় ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেন খাঁন লালুর ছোট ভাই এলাকার সন্ত্রাসী রোকন বাহিনীর রোকন ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড ড্যান্সার রুপু ঘটনার দিন প্রকাশ্যে পিস্তল উচিয়ে গুলি বর্ষন করে আতংকো সৃষ্টি করে । তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অজ্ঞাতনামা ৭০/৮০জন সন্ত্রাসী সহ দা,রড,টেটা,কিরিজ ও পিস্তল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা, নুুরুল ইসলামের ৯৩ শতাংশ আলু চাষকৃত জমি দখলের চেষ্টা চালায়। তারা সেজমির আলু তুলে বস্তা ভর্তি করতে থাকে। এ সময় তাদেরকে নুরুল ইসলাম আলু তুলতে বারন করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল ইসলামের উপর হামলা চালিয়ে তাকে শাররিকভাবে বেদম প্রহর ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় নুরুল ইসলামকে রক্ষা করতে আসা মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী ও মজিবুর রহমান কে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা রক্তাক্ত জখম হয়। অপরদিকে নুরুল ইসলামকে রক্ষা করতে আসা কামাল ঢালী ঐ সময় ডান পায়ে টেটাবৃদ্ধ হয় এবং ঘটনার সময় আয়শা বেগম এগিয়ে আসলে তারা আয়শা বেগমের উপর শাররিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসা সোমা বেগমকে সন্ত্রাসীরা টানা-হেঁচড়া করে তার শরীরে থাকা স্বর্নালংকার ছিনিয়ে নেয় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে শ্লীতাহানির চেষ্টা চালায়। তারা ফসলী জমির প্রায় ২৫/৩০ বস্তা আলু বস্তা ভর্তি করে নিয়ে যায়। ঘটনা ঘটিয়ে চলে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা হুমকি প্রদর্শন করে আইনের আশ্রয় নিলে সবাই খুন করবে। এ সংক্রান্ত একটি রির্পোট গত ৩১ জানুয়ারী জাতীয় ও স্থানীয় পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ভুক্তভোগীরা জানায়,ঘটনার পর যাতে তারা মামলা করতে না পারে সে জন্য তাদেরকে হুমকি-ধমকি সহ ঘটনাস্থলে প্রতিনিয়ত মহড়া দিয়ে আসছে ঐ সন্ত্রাসী চক্রটি। এ ব্যপারে তদন্তপূর্বক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছেন এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগীরা ।